শেষ মুহূর্তে পরিকল্পনায় বড়সড় পরিবর্তন না হলে পরবর্তী আনলক পর্যায়ে স্কুল খোলার পথে হাঁটছে না কেন্দ্র। নাম গোপন রাখার শর্তে একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। একইভাবে মেট্রো পরিষেবা চালুর সম্ভাবনাও কার্যত নেই। দেখে নিন সেই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য -
আগামী সপ্তাহে সেই আনলক পর্যায় শুরু হতে পারে।
স্কুল খোলার অনুমতি দিতে পারে কেন্দ্র বলে খবর ছড়িয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে গত সোমবার থেকে রাজ্য এবং অন্যান্য পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ ও উন্নয়ন মন্ত্রক। বৈঠকে স্কুলে পড়ুয়াদের সুরক্ষা, স্বাস্থ্যবিধি এবং অনলাইনে শিক্ষা-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় স্কুলশিক্ষা সচিন অনিতা কারওয়াল এবং রাজ্যগুলির শিক্ষাসচিবরা।
বিস্তারিত আলোচনার পর মানবসম্পদ ও উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই পর্যায়ে অধিকাংশ অভিভাবক স্কুল খোলার পক্ষে নন। এক আধিকারিক বলেছেন, 'মানবসম্পদ ও উন্নয়ন মন্ত্রক আমাদের জানিয়েছে, অনেকে অভিভাবক বলেছেন যে করোনার টিকা আবিষ্কারের পরই একমাত্র স্কুল খোলা উচিত।' দ্বিতীয় আধিকারিক বলেন, 'বাচ্চাদের স্বাস্থ্য সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমাদের স্কুলের বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন থাকতে পারে।'
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে মেট্রো চালুর সম্ভাবনাও কার্যত নেই। যদিও একটি অংশের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল, মেট্রো পরিষেবা চালু হলে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হবে। কিন্তু এই মুহূর্তে তা যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষত দিল্লি, কলকাতা, বেঙ্গালুরুর মতো শহরে সেই মাত্রা আরও বেশি।
লকডাউনের শুরু থেকে বড় জমায়েতের উপর যে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে, তা আগামিদিনেও চলবে বলে খবর।
জিম এবং সুইমিং পুল খোলারও অনুমতি দেওয়ার সম্ভাবনা কার্যত নেই বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।
গত শুক্রবার ন'টা রাজ্যগুলিকে কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা জানান, দু-তিনদিনের লকডাউনে করোনা সংক্রমণ রোখা যাবে। ফলে বড়সড় ছাড় দেওয়া হবে না বলেই মত সংশ্লিষ্ট মহলের।