গত বছর সংসদের গ্রীষ্মকালীন এবং বাদল অধিবেশনে বারবার শাসক দলের সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। এ বছরের বাদল অধিবেশন শুরু হচ্ছে আগামী ১৮ জুলাই থেকে। তারইমধ্যে লোকসভা এবং রাজ্যসভার অধিবেশন চলাকালীন বেশ কিছু ইংরেজি এবং হিন্দি শব্দগুচ্ছের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল লোকসভার সচিবালয়। অধিবেশন চলাকালীন কোন কোন শব্দ প্রয়োগ করা যাবে না, তা নিয়ে দীর্ঘ তালিকার একটি বই প্রকাশ করেছে লোকসভার সচিবালয়। আর এ নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা।
অসংসদীয় শব্দের তালিকায় রয়েছে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’, ‘লজ্জাজনক’, ‘নির্যাতন’, ‘নাটক’, ‘ভণ্ডামি’-র মতো কিছু শব্দ। এছাড়াও ‘নৈরাজ্যবাদী’, ‘শকুনি’, ‘স্বৈরাচারী’, ‘বিনাশপুরুষ’, ‘খলিস্তানি’, ‘জয়চাঁদ’, ‘তানাশাহি’-র মতো শব্দও প্রয়োগ করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে। এসবের পাশাপশি তালিকায় রয়েছে, ‘জুমলাজীবী’, ‘বাল বুদ্ধি’ , ‘কোভিড স্প্রেডার’, ‘স্নুপগেট’-র মতো শব্দ। অন্যদিকে, ইংরেজি শব্দের মধ্যে রয়েছে ‘অ্যাশেমড’, ‘বিট্রেড’ প্রভৃতি। এই শব্দগুলিকে আসন্ন বাদল অধিবেশনে প্রয়োগ করা অসাংবিধানিক বলে জানানো হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে, ‘গদ্দার’, ‘গিরগিট’, ‘কালোবাজারি’ প্রভৃতি শব্দ। এই সমস্ত শব্দগুচ্ছ ইংরেজি বা হিন্দিতে বলা যাবে না, তেমনি আঞ্চলিক ভাষাতেও বলা যাবে না বলে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকী অধিবেশনের কোনও রেকর্ডে এই সমস্ত শব্দ নথিভুক্ত করা যাবে না বলেও জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে সংসদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই সমস্ত শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করেছেন বিরোধীরা। ফলে তারা আর যাতে এই সমস্ত শব্দ ব্যবহার করতে না পারে তার জন্যই কৌশলে বিরোধীদের মুখে লাগাম টানতে এই পদক্ষেপ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।