অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বুধবার বলেছেন, বাংলাদেশের অস্থিরতা দেশটিকে বিদ্রোহীদের ঘাঁটিতে পরিণত করতে পারে এবং এর ফলে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে।
হিমন্ত বিশ্বশর্মা আশা প্রকাশ করেন, কেন্দ্র বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবে এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর উদ্বেগকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবে।
দেরগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশে যা ঘটছে তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, 'যদি পরিস্থিতির উন্নতি না হয়, তবে এটি আমাদের অঞ্চলে দু'ভাবে প্রভাব ফেলতে পারে।
হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, দুই দেশের সীমান্ত অবশ্যই সুরক্ষিত করতে হবে কারণ 'প্রতিবেশী দেশের লোকেরা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে এই অঞ্চলে প্রবেশের চেষ্টা করতে পারে।
'আত্মবিশ্বাসী নতুন বাংলাদেশ সরকার সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে'
হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, বিগত বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা উত্তর-পূর্ব ভারতে চরমপন্থী তৎপরতা সফলভাবে কমিয়ে এনেছে এবং নতুন সরকার এই সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে আস্থা ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪০ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম। এদিকে হিংসা কবলিত দেশটিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে সেনাবাহিনী।
নোবেল বিজয়ী মোহাম্মদ ইউনুসকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন। বিতর্কিত চাকরি কোটা পদ্ধতি নিয়ে আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার একদিন পর এই নিয়োগ দেওয়া হলো।
হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, 'আমরা আত্মবিশ্বাসী যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃঢ় নেতৃত্বে উত্তর-পূর্বের উদ্বেগ দূর হবে এবং বাংলাদেশ আর বিদ্রোহীদের নিরাপদ স্বর্গে পরিণত হবে না।
এই অনিশ্চিত সময়ে, যখন আমরা বাংলাদেশের সাথে আমাদের সীমান্তের দিকে নজর রাখছি, তখন আমার মন প্রায়শই অসমের ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যায়। আমি সাহসের সাথে বর্তমানকে অতিক্রম করার জন্য শক্তি এবং ধৈর্যের জন্য প্রার্থনা করি। আশা করি যে আমাদের আজকের প্রচেষ্টা একটি উজ্জ্বল আগামীর ভিত্তি হবে। আমরা আমাদের ধর্ম ও সংস্কৃতি রক্ষা করার সাহস পাব,' হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এক্স (পূর্বে টুইটার) এ লিখেছেন।
পিটিআই ইনপুট সহ
এদিকে এসবের মধ্যেই জলপাইগুড়িতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পথ দিয়ে অন্তত ১২০০ বাংলাদেশি ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। সেই সময় বিএসএফ তাদের আটকায়। বাংলাদেশে অস্থিরতার জেরে এই অনুপ্রবেশের সমস্যাটাই ক্রমশ প্রকট হয়ে উঠছে।