উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে অবাক করা কাণ্ড।মায়ের মৃত্যুর পরে ৮২ বছর বয়সী মায়ের দেহ দরজার পেছনে লুকিয়ে রেখেছিল ছেলে। চারদিন ধরে এভাবেই রেখে দেওয়া হয়। এদিকে এনিয়ে পচা গন্ধ বের হতে শুরু করে। তখনই বাসিন্দাদের মধ্যে সন্দেহ দানা বাঁধে। এরপর তারা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ বাড়ির মধ্যে একটি দরজার পেছন থেকে দেহটি উদ্ধার করে। পুলিশ এরপর দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠিয়েছে।
ওই বৃদ্ধার ছেলেকে জেরা করছে পুলিশ। স্থানীয়দের দাবি, ছেলেটি মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ। তার জেরে তিনি এই কাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারেন। শান্তিদেবী নামে ওই মহিলা শহরের একটি নামী স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন। পুলিশের অনুমান অসুস্থতার জেরেই ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছিল। এদিকে তার ছেলে মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়ার কারণেই দেহটিকে এভাবে রেখে দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর শান্তিদেবী ও তাঁর স্বামী উভয়ই শিক্ষকতা করতেন। তারা বাড়িটি তৈরি করেছিলেন। একমাত্র ভরসার জায়গা ছিল তাঁদের সন্তান নিখিল। কিন্তু তিনি মাদকাসক্ত। মানসিকভাবে অসুস্থ। দিনকয়েক আগে তাঁর স্ত্রীও বাবার বাড়ি চলে যান। বাড়ির ভাড়াটিয়াও ছেড়ে চলে যান। এরপর বাড়িতে শুধু মা ও ছেলে।
পুলিশ ইতিমধ্যে নিখিল ওরফে ডাব্বুকে আটক করেছে। অনুমান করা হচ্ছে বাড়িতেই মায়ের দেহ রেখে দিয়েছিল সন্তান। এরপর গন্ধ আটকাতে ধূপ জ্বালতেন তিনি। কিন্তু তারপরেও গন্ধ চাপা দেওয়া যায়নি।
নিখিল পুলিশকে জানিয়েছেন, চারদিন আগে মা মারা গিয়েছেন। কাউকে না বলে তিনি দেহটি লুকিয়ে ফেলেছিলেন।এরপর পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
প্রতিবেশীদের দবি, নিখিল মাদকাসক্ত ও মানসিকভাবে অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে অশান্তি পাকাত। বিয়ের প্রায় ১৪ বছর পরে শান্তিদেবীর সন্তান হয়েছিল। কিন্তু সেই সন্তানও বিপথে চলে গিয়েছিল। আর তারপরে এই মর্মান্তিক পরিণতি।