সকালে ভোট গণনা শুরু হতেই উত্তরপ্রদেশের দুই লোকসভা আসনে পিছিয়ে পড়েছিল বিজেপি। রামপুর এবং আজমগড় – সমাজবাদী পার্টির দুর্গ হিসেবে পরিচিত এই দুই কেন্দ্রই। মুসলিম অধ্যুষিত এই দুই কেন্দ্রে সমাজবাদী পার্টি ‘মুসলিম-যাদব’ ফর্মুলাতে জিতে এসেছে বহু বছর ধরে। তবে উপনির্বাচনে শেষ পর্যন্ত সেই জয়রথ থমকে গেল। আজম খান এবং অখিলেশ যাদব বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ায় খালি হয়েছিল রামপুর এবং আজমগড় কেন্দ্র দুটি। এর জন্য এই আসনে উপনির্বাচন হয়। এবং পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত দু’টি আসনেই বড় ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিল বিজেপি। এখানে অবশ্য বিজেপি ‘সাহায্য’ পেয়েছে বহুজন সমাজ পার্টির। বিএসপি সমাজবাদী পার্টির ভোট ‘কেটেছে’ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এর ফলে অনায়াসে কেন্দ্র দুটিতে সহজ জয় পায় গেরুয়া শিবির।
উত্তরপ্রদেশের রামপুরে বিজেপি প্রার্থী ঘনশ্যাম লোধি ৪০,০০০ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। আজমগড়েও, বিজেপি প্রার্থী দীনেশ লাল যাদব 'নিরহুয়া' তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সমাজবাদী পার্টির ধর্মেন্দ্র যাদবকে হারিয়ে দেন। এই নিয়ে চতুর্থবার রামপুর লোকসভা আসনে জয়ী হল বিজেপি। আজম খানের সমর্থনকারী এসপি প্রার্থী মোহাম্মদ অসীম রাজা মাত্র ৩ লাখ ২৫ হাজার ভোট পেয়েছেন এই কেন্দ্র থেকে। সেখানে বিজেপি প্রার্থী ঘনশ্যাম লোধী ৩ লাখ ৬৭ হাজার ভোট পেয়েছেন এবং প্রায় ৪২ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছেন। ঘনশ্যাম লোধি একসময় আজম খানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
রামপুর লোকসভা আসনে বিজেপির জয়ের পিছনে বিএসপি ভোট ‘কাটার’ সমীকরণও রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১৯ সালে এসপি এবং বিএসপি একসাথে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল এবং এই আসনটি এসপির অ্যাকাউন্টে গিয়েছিল। কিন্তু তার আগে ২০১৪ সালে প্রয়াত বিজেপি নেতা ডাঃ নেপাল সিং জিতেছিলেন এই আসনে। সেই সময় বলা হয়েছিল যে বিএসপি এবং কংগ্রেস মুসলিম প্রার্থী দেওয়ায় এসপি হেরেছিল। এবারও সেই একই কারণে সমাজবাদী পার্টি এই কেন্দ্রে পিছিয়ে যায় বলে মনে করা হচ্ছে।