একটা খুন। আর তার পেছনে প্রেম, যৌনতা ও প্রতারণার কাহিনী।
বৃহস্পতিবার কানপুরের বিলহাউর থানার এক কনস্টেবলের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে ভাড়া থাকতেন তিনি। ঘর থেকে মেলে দেশদীপক নামের ওই পুলিশকর্মীর দেহ।
খুনি কে?
কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, এক যুবতীর সঙ্গে দেশদীপকের সবচেয়ে বেশি কথা হয়েছিল। জানা যায় সেই যুবতীর সঙ্গেই তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
খুনের রাতে যুবতীর অবস্থান বিলহাউরেই ছিল। কিন্তু টাওয়ার লোকেশান ট্র্যাক করে দেখা যায়, বুধবার রাতেই সে বিহারের সিওয়ানের দিকে পলাতক হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে বৃহস্পতিবারই বিহারের সিওয়ানে পুলিশ ও সোয়াটের(SWAT) যৌথ দল পাঠানো হয়। সেখানে লালসা ওরফে লালি ও অভিষেক সাইনি নামে ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই দু'জনকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে আরও দু'জনের খোঁজে চলছে চিরুনি তল্লাশি।
ফেসবুকে প্রেম, বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে সহবাস
পুলিশ জানায়, দেশদীপক ও লালসার মধ্যে ফেসবুকে বন্ধুত্ব হয়েছিল। তারপর থেকে লালসা অনেকবার বিলহাউরে এসেছিল। সেখানে এলে দেশদীপকের কাছে থাকতেন।
এদিকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেশদীপক লালসার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করত। আদতে তার বিয়ে হয় অন্য কোথাও। বিষয়টা একেবারেই মেনে নিতে পারেনি লালসা।
প্রাথমিক জেরায় জানা গিয়েছে, প্রতিশোধ নেওয়ার উদ্দেশ্যে খুনের পরিকল্পনা করে সে। তারপর দাদার সঙ্গে হাত মিলিয়ে দেশদীপককে খুন করে। খুনের পর ফিরে যায় বিহারে।