থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন মা-মেয়ে। তাঁদের সামনেই হস্তমৈথুন করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার। সেই ভিডিয়ো সামনে আসার পর সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ডও করা হয়। কিন্তু এএফআইআর দায়ের করতে পুলিশের চার দিন লাগল। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়ার।
ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা হয়ে গিয়েছেন ভাটনি থানার ওই ইন্সপেক্টর ভীষ্ম পাল সিং। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৬৬ (সরকারি কর্মচারীর আইন অমান্য), ৩৫৪ এ (যৌন হেনস্থা) এবং ৫০৯ ধারায় (মহিলার শালীনতাকে অপমানের উদ্দেশ্যে কোনও কাজ) মামলা রুজু করা হয়েছে। দেওরিয়ার পুলিশ সুপার শ্রীপতি মিশ্র জানিয়েছেন, অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। একইসঙ্গে ওই পুলিশ অফিসারের খোঁজে সাহায্য করলে ২৫,০০০ টাকা পুরস্কারেরও ঘোষণা করা হয়েছে।
অভিযোগকারী তরুণী জানিয়েছেন, আত্মীয়ের সঙ্গে জমির বিবাদ নিয়ে মা'র সঙ্গে কমপক্ষে তিনবার তিনি ভাটনি থানায় গিয়েছিলেন। কিন্তু কোনওবার তাঁদের অভিযোগ নিতে চাওয়া হয়নি। উলটে অভিযুক্ত অফিসার তাঁদের সামনে অশ্লীল আচরণ করেন। তরুণী বলেন, 'কমপক্ষে দু'বার আমি বিষয়টি এড়িয়ে যাই। পরে পুরো ঘটনাটি ক্যামেরায় রেকর্ড করার সিদ্ধান্ত নিই, যাতে সিনিয়র আধিকারিক এবং মানুষের সামনে ওঁনার মুখোশ খুলে যায়।'
গত ২২ জুন একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে ওই তরুণী ভিডিয়ো রেকর্ড করেন এবং উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের ভিডিয়োটি দেখান। তার ভিত্তিতে ২৬ জুন ওই ভীষ্মকে সাসপেন্ড করা হয়। কিন্তু এএফআইআর দায়ের করা হয়নি। ভিডিয়োটি ভাইরাল হওয়ার পর স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়ে ৩০ জুন এএফআই দায়ের করে পুলিশ। দেওরিয়ার পুলিশ সুপার জানান, অভিযুক্তকে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।