জোর করে মহিলা কম্পিউটার অপারেটরকে চুমু খাচ্ছেন এক ব্যক্তি। মহিলার গায়ে, পিঠে হাত দিচ্ছেন। হাত ধরছেন। মহিলা বারবার হাত ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। যতবার মহিলা ঠেলে দিচ্ছেন, ততবার জোর-জবরদস্তি করছেন ওই ব্যক্তি। রীতিমতো কান্নাকাটি করছেন ওই মহিলা। তা দেখে হাসছেন ওই ব্যক্তি।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই একটি ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যে ভিডিয়োটি উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের হুসেনগঞ্জের সরকারি অফিসে তোলা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। নির্যাতিতা মহিলার দাবি, যে ব্যক্তি যৌন হেনস্থা করছেন, তিনি সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরে আন্ডার-সেক্রেটারি পদে কর্মরত। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে হুসেনগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিলা।
অভিযোগপত্রে ৩০ বছরের ওই বিবহিত মহিলা জানিয়েছেন, ২০১৩ সাল থেকে ওই সরকারি অফিসে চুক্তিভত্তিক কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করছেন। সেখানে সেকশন ইনচার্জ হিসেবে আছেন অভিযুক্ত ব্যক্তি ইচ্ছারাম যাদব। মহিলার অভিযোগ, ২০১৮ সাল থেকে তাঁকে হেনস্থা করে আসছেন ওই ব্যক্তি। অশ্লীল মন্তব্য করছেন। তারইমধ্যে মাসখানেক ইচ্ছারাম তাঁকে মহিলা শৌচালয়ে গিয়ে ‘মজা’ করার প্রস্তাব দেন বলে অভিযোগ করেছেন মহিলা। তাঁর অভিযোগ, সেই প্রস্তাবের বিরোধিতা করতেই ইচ্ছারাম হুমকি দেন যে তাঁর কথামতো কাজ না করলে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে। ‘জীবন তছনছ’ করে দেবেন। বিয়ের প্রস্তাব গ্রহণ না করলে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ইচ্ছারামের বিরুদ্ধে হুসেনগঞ্জ থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারা, ৫০৬ ধারা এবং ২৯৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। নথি অনুযায়ী, গত ২৯ অক্টোবর রাত ১০ টা ১৮ মিনিটে সেই দায়ের হয়েছে এফআইআর। কিন্তু এখনও অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়নি। তার জেরে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।