হঠাত্ই ধনকুবের। রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেলেন দিনমজুর। তবে পুরোটাই মাত্র কয়েক ঘণ্টার জন্য। উত্তরপ্রদেশের ৪৫ বছরের বিহারী লালের সাদামাঠা জীবনে এ যেন এক স্বপ্নের মতো।
জনধন অ্যাকাউন্ট থেকে মাত্র ১০০ টাকা তুলেছিলেন বিহারী। সেই সময়েই অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স দেখে ভিরমি খান তিনি। দেখেন ২,৭০০ কোটি টাকা রয়েছে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। পুরো বিষয়টায় বেজায় ঘাবড়ে যান তিনি।
উত্তরপ্রদেশের কনৌজের বাসিন্দা তিনি। ইটভাটায় কাজ করেন। শ্রমিক হিসাবে দিনে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা করে পান। বর্তমানে বর্ষার কারণে ইটভাটা বন্ধ। তাই সেভাবে কাজও নেই।
বিহারীলাল এরপর 'ব্যাঙ্ক মিত্রে'র কাছে যান। তিনি তাঁর অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখেন। এরপর তিনিও অ্যাকাউন্টে এই বিপুল টাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ব্যাঙ্ক আধিকারিককে তিন-তিনবার অ্যাকাউন্ট চেক করতে বলেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমকে বিহারীলাল বলেন, 'আমি ওঁদের বারবার করে আমার অ্যাকাউন্টটা চেক করে দেখতে বলছিলাম। এতগুলো টাকা তো আমার ভাবনারও বাইরে।
কিন্তু এই টাকা তো তাঁর নয়। ভুল করে যে এসে গিয়েছে, তা ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন তিনি। তাই ব্যাঙ্কে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বিহারী। যদিও ব্যাঙ্কে পৌঁছে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। কারণ ব্যাঙ্কে গিয়ে জানতে পারেন যে সমস্ত ত্রুটি সংশোধন করা হয়েছে। তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকাটা সরিয়ে নিয়েছে ব্যাঙ্ক। এখন তাঁর অ্যাকাউন্টে মাত্র ১২৬ টাকা পড়ে আছে।
ব্যাঙ্কের জেলা অধিকর্তা জানান, আলোচ্য অ্যাকাউন্টে সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। ঠিক কীভাবে এটা হল, সেটা জানার চেষ্টা করছি আমরা। ব্যাঙ্কিং ত্রুটি এটি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হয়েছে।
অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে গেলে কী হয়?
ব্যাঙ্কিং আইন অনুযায়ী, অ্যাকাউন্টে অজানা সূত্র থেকে ভুল করে কোনও টাকা এলে, তা অ্যাকাউন্টধারী ফেরত দিতে বাধ্য। কেউ যদি টাকা স্থানান্তর বা তুলে নেন, সেক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ করতে পারে।