এক যুবকের পায়ুদ্বারে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় লাঠি। দেওয়া হয় ইলেকট্রিক শক। শেষে ৫,০০০ টাকা ঘুষ নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এমনই অভিযোগ তুলল ওই যুবকের পরিবারের। শুধু তাই নয়, পরিবারের সদস্যদের দাবি, যুবকের চিকিৎসার জন্য ১০০ টাকা দিয়েছে পুলিশ। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশে বদায়ুঁর।
নিউজ ১৮-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুবকের মা অভিযোগ করেছেন যে গবাদি পশু পাচার সংক্রান্ত মামলায় অত্যাচার চালিয়েছে পুলিশ। এক পুলিশকর্মী, পুলিশ চৌকির দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক, চারজন কনস্টেবল এবং দু'জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি যুবকের পায়ুদ্বারে লাঠি ঢুকিয়ে দেন। ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়। তারপর ৫,০০০ টাকা ঘুষ দেওয়ায় যুবককে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘লাদেন আমার গুরু’, যোগী রাজ্যে সরকারি অফিসে লাগানো জঙ্গি নেতার ছবি!
বছর কুড়ির ওই যুবক মাঝেমধ্যে আনাজপাতি বিক্রি করতেন। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে ওই যুবকের পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, 'ও গুরুতর আহত হয়েছে এবং হাঁটতে বা কথা বলতেও পারছে না।' পরিবারের দাবি, তাঁর চিকিৎসার জন্য ১০০ টাকা দিয়েছে পুলিশ।
ইতিমধ্যে সেই ঘটনায় সাতজন পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন যুবকের পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪২ ধারা এবং ৩২৩ ধারা-সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। একটি সংবাদসংস্থাকে পুলিশ সুপার (সিটি) প্রবীণ সিং চৌহান বলেন, 'প্রাথমিক তদন্তে পাঁচজন পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা সত্যি বলে প্রমাণিত হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আমরা এফআইআর দায়ের করছি।' যুবকের চিকিৎসার জন্য পরিবারকে সাহায্য করা হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন পুলিশ সুপার। সেইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, চারজন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।