অপরাধীকে ধরতে গিয়ে উত্তরপ্রদেশ-উত্তরাখণ্ড সীমান্তের এক গ্রামে স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়তে হল যোগীর পুলিশকে। এই আবহে অপরাধীকে ধরতে গুলি চালায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। ঘটনায় স্থানীয় এক বিজেপি নেতার স্ত্রী মারা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে জাফর আলি নামক এক মাফিয়াকে ধরতে গিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। জাফর উত্তরপ্রদেশের সীমান্ত পার করে জাসপুরের ভরতপুর নামক যে গ্রামে ঢুকে পড়ে, সেটি উত্তরাখণ্ডে পড়ে। পরে সেই গ্রামের একটি বাড়িতে লুকিয়ে পড়ে জাফর ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। সেখানে জাফরকে ধরতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে। উল্লেখ্য, মাফিয়া জাফরের মাথার দাম ছিল ৫০ হাজার টাকা।
জানা গিয়েছে জাফরকে ধরতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। জবাবে পুলিশও গুলি চালায়। ক্রসফায়ারে জাসপুরের বিজেপি ব্লক সভাপতি গুরতাজ ভুল্লারের স্ত্রী গুরপ্রীত কউর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এরপরই পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয়রা। অবরোধ করা হয় জাতীয় সড়ক। এদিকে গুলি বিনিময়ের ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশের পাঁচজন জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে কুমাওন রেঞ্জের ডিআইজি নীলেশ ভারেন বলেন, ‘গুরতাজ ভুল্লর একজন সম্মানিত ব্লক প্রধান। ইউপি পুলিশ না জানিয়েই এখানে এসেছিল। তারা সিভিল ড্রেসে ছিল। আমরা হত্যা সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা নথিভুক্ত করেছি।’ এদিকে উত্তরপ্রদেশ পুলিশও পালটা অভিযোগ দায়ের করেছে এই ঘটনায়। দাঙ্গা, অপরাধীদের আশ্রয় দেওয়া, গ্রেফতার প্রতিরোধ, খুনের চেষ্টা, ডাকাতি, সরকারি কর্মচারীকে আঘাত করার অভিযোগে অজ্ঞাত পরিচয় গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে মোরাদাবাদ পুলিশ। মোরাদাবাদের এসএসপি হেমন্ত কুটিয়াল বলেছেন এই কথা জানিয়েছেন।