উত্তর প্রদেশের আমরোহার এক তাবড় স্কুলে এক তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়াকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা নিয়ে তোলপাড়। জানা যাচ্ছে, ওই স্কুল পড়ুয়া তার টিফিনে এনেছিল বিরিয়ানি। স্কুল কর্তৃপক্ষ এই আমিষ খাবার নিয়ে আপত্তি তুলে ওই ৭ বছরের পড়ুয়াকে স্কুল থেকে তাড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনা ঘিরে একটি ভিডিয়ো (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে এই টিফিন-কাণ্ড ঘিরে পড়ুয়ার মা ও স্কুলের প্রিন্সিপালের মধ্যে বচসার ঘটনা সামনে আসে।
যে ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, ওই স্কুলের প্রিন্সিপাল অবিনাশ শর্মা ছাত্রের ধর্মীয় দিক নিয়ে বক্তব্য রাখছেন। যে বক্তব্য কটব ভাষার ছিল। গতকাল ছিল শিক্ষক দিবস। আর এই ভিডিয়ো সদ্য ভাইরাল হতে শুরু করেছে। শিক্ষক দিবসের উৎসবের রেশের মধ্যে, এই ভিডিয়ো নানান প্রশ্ন তুলছে। ওই একজন শিক্ষক তাঁর ছাত্র সম্পর্কে যে পদক্ষেপ নিয়েছেন, বা ছাত্রের অভিভাবকের সঙ্গে যে আচরণ করেছেন, তা নিয়ে নেটপাড়ায় বহু চর্চা শুরু হয়েছে। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, অবিনাশ শর্মা বলছেন, সেই ছাত্রদের পড়াবনা যাঁরা বড় হয়ে মন্দির ভেঙে দেবে। তাঁর অভিযোগ, এই ধরনের খাবার স্কুলে এনে ওই ছাত্র বাকি পড়ুয়াদের ধর্মীয়ভাবে 'রূপান্তরিত' করার চেষ্টা করছে। স্কুলের প্রিন্সিপালের মুখে এই ভাষা শুনে, পড়ুয়ার মা বলছেন, আমার ছেলে কোনও দিনও এই ধরনের শব্দ শোনেনি, সে নিরীহ। পড়ুয়ার মা জানাচ্ছেন, কীভাবে ঘটনার পর বাড়িতে এসে ছেলে জানিয়েছিল তার অভিজ্ঞতা। স্কুলে সেই ছাত্রকে সবার মাঝে কীভাবে দুর্ব্যবহারের শিকার হতে হয়েছে, সেকথা সে তার মাকে জানিয়েছে।
ঘটনা ঘিরে আমরোহার সাবডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট এই ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছে। তিনি জানিয়েছেন, ওই কমিটি যে তথ্য পাবে, তার ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। জানা গিয়েছে, একটি ৩ সদস্যের কমিটি এই ঘটনায় গঠন করা হয়ে গিয়েছে। আমরোহা মুসলিম কমিটি গোটা ঘটনার নিন্দা করেছে। এই স্পর্শকাতর বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করেছে কমিটি।