বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > গরিব কৃষকের মেয়ে পড়তে যাবেন আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ে, পেলেন ১০০% স্কলারশিপ

গরিব কৃষকের মেয়ে পড়তে যাবেন আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ে, পেলেন ১০০% স্কলারশিপ

দক্ষয়নী পান্ডে। সংগৃহীত ছবি

অনেকেরই মতে, দেশের প্রত্যন্ত গ্রামে অনেক প্রতিভা লুকিয়ে রয়েছে। নানা কারণে তারা হারিয়ে যান। আর বিকাশ হওয়ার সুযোগ থাকে না। পাশাপাশি অনেকের ইচ্ছা থাকলে পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি সায় দেয় না।

একেবারে অজ পাড়াগাঁ বলতে যা বোঝায় তেমন জায়গাতেই বাড়ি দক্ষয়নী পান্ডের। বাবা প্রান্তিক কৃষক। উত্তরপ্রদেশের সেই ছোট্ট গ্রাম থেকে ১০০ শতাংশ স্কলারশিপ নিয়ে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়তে চললেন তিনি। উত্তরপ্রদেশের মউ গ্রাম থেকে এবার আমেরিকার ক্য়ালিফোর্নিয়ার বিশ্ববিদ্য়ালয়ে যাচ্ছেন তিনি। তিনি ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সেখানে যাবেন।

তিনি সেখানে প্রধান বিষয় হিসাবে নিচ্ছেন বায়ো ইঞ্জিনিয়ারিং। একেবারে স্বপ্নের উড়ান হবে তার। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে আমেরিকার অভিজাত বিশ্ববিদ্য়ালয়ে। তবে এই স্বপ্নপূরণে তার অভিভাবকদের গুরুত্ব অপরিসীম। তার অভিভাবকরা সবসময় তাকে পড়াশোনার ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে উৎসাহ দিয়েছেন। দশম শ্রেণিতে তিনি বিদ্যাজ্ঞানে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে পড়াশোনার মান অত্যন্ত ভালো। বরাবরের ভালো ছাত্রী তিনি। স্কুলের প্রথম ১০জন ছাত্রীর মধ্যে তিনি সবসময় থাকতেন।

India@ National Youth ideathon 2021এ তিনি বিজেতা হয়েছিলেন। সেখানে তিনি দেখিয়েছিলেন, কোনও গাড়িতে যদি বাচ্চারা আটকে পড়ে তবে কীভাবে বিষাক্ত গ্যাসের ভারসাম্য় রক্ষা করে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব।

স্বেচ্ছাশ্রমেও বরাবরই এগিয়ে রয়েছেন তিনি। এদিকে তিনি নানা ধরনের নতুন নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতে ভালোবাসেন। ভারতীয় ছাত্রদেরও তিনি নানাক্ষেত্রে দিশা দেখানোর ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন।

দীর্ঘকালীন ক্ষেত্রে তাঁর ইচ্ছা আগামী দিনে যাতে ভারতীয় ছাত্রদের নানাভাবে সহায়তা করা যায়। তিনি চান ভারতের প্রত্য়ন্ত গ্রামে থাকা ছাত্রছাত্রীরাও যাতে শিক্ষার আলো পায়। তাদের পাশে থাকার জন্য তিনি বিশেষভাবে উদ্যোগী হচ্ছেন।

এদিকে অনেকেরই মতে, দেশের প্রত্যন্ত গ্রামে অনেক প্রতিভা লুকিয়ে রয়েছে। নানা কারণে তারা হারিয়ে যান। আর বিকাশ হওয়ার সুযোগ থাকে না। পাশাপাশি অনেকের ইচ্ছা থাকলে পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি সায় দেয় না। অভিভাবকদের অনেকেই মেয়েদেরকে বেশি পড়াশোনার করাতে চান না। এর জেরে তারা আর এগোতে পারেন না। আগামীদিনে সমস্যায় পড়ে যান তারা। তবে দক্ষয়নীর ক্ষেত্রে সবসময় তার বাবা মা উৎসাহ দিয়ে গিয়েছেন। পাশাপাশি ওই ছাত্রীর প্রবল ইচ্ছাশক্তি, জেদ আর পড়াশোনার প্রতি অদম্য টান এটা জানিয়ে দিল যে পড়াশোনা ভালো করে করলে অনেক বাধাকে অতিক্রম করা যায়।

তিনি নিজেও অত্যন্ত উৎসাহিত। তাঁর কথায়, স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়তে যাওয়ার ইচ্ছাপূরণ হয়েছে। এদিকে ১০০ শতাংশ স্কলারশিপ পাওয়ায় তাঁর আর্থিক দিক থেকেও আর কোনও সমস্যা হবে না।

 

বন্ধ করুন