২০১৮ সাল থেকে স্বামীর সঙ্গে নিউ ইয়র্কে থাকতেন উত্তরপ্রদেশের মনদীপ কউর। সেখানে নাকি তাঁর স্বামী অত্যাচার চালাত। সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করলেন মনদীপ। আত্মহত্যার আগে নিজের বাবাকে এই অত্যাচারের বিষয়ে ভিডিয়ো বার্তায় জানান মনদীপ। জানা গিয়েছে, গত ১ অগস্ট এই ভিডিয়ো বার্তা পাঠানো হয়েছিল মনদীপের তরফে। তবে ঘটনার অনেক দিন পর বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে।
জানা গিয়েছে, এর আগেও মনদীপ একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ পাঠিয়েছিলেন তাঁর পরিবারকে। সেখানে তাঁর স্বামীর অত্যাচারের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, কোনও পুত্র সন্তান জন্ম না দিতে পারার কারণেই নাকি মনদীপের উপর অত্যাচার চালানো হত। উল্লেখ্য, মনদীপ দুই কন্যাসন্তানের মা ছিলেন। এদিকে পুত্র সন্তান ছাড়াও মনদীপের পরিবারের থেকে টাকা এবং সম্পত্তির দাবিও করেছে বলে অভিযোগ।
ভিডিয়ো বার্তায় মনদীপকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার স্বামী আমার উপর ক্রমাগত অত্যাচার চালাতে থাকে। বহু মেয়ের সঙ্গে আমার স্বামী বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। ভারতে আমার বাবা আমার স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেছিলেন। তখন আমার স্বামী আমাকে বাঁচাতে বলেছিলেন। আমি ভেবেছিলাম আমার স্বামী শুধরে যাবেন। তবে এই অত্যাচার বাড়তেই থাকে। আম আর নিতে পারছি না। আমি নিজেকে শেষ করে দেব। আমাকে ক্ষমা করে দিও বাবা।’
মনদীপের এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই আরও একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখআ গিয়েছে মনদীপের স্বামী রঞ্জোধবীর সিং তাঁকে মারছেন। মনদীপের দুই মেয়ে কাঁদছেন আর তাদের বাবাকে থামতে বলছে। এদিকে মনদীপের আত্মহত্যার ঘটনায় টুইট করে দুঃখপ্রকাশ করে ভারতীয় দূতাবাস। ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, মার্কিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।