ফাঁস হওয়া ভিডিয়ো, প্রশাসনের অপব্যবহারের মতো অভিযোগ ঘিরে সরগরম হয়েছিল নির্বাচন। উঠেছে দেদার ছাপ্পার অভিযোগ। তারইমধ্যে উত্তরপ্রদেশের জেলা পঞ্চায়েত প্রধানের ভোটে পুরোপুরি গেরুয়া ঝড় উঠল। ৭৫ টির মধ্যে ৬৭ টি আসনে জিতল বিজেপি। ২১ টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে গেরুয়া শিবির। যা আগামী বছর বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিকে স্বস্তি দেবে।
আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটের ফল প্রকাশের আগে শনিবার বিজেপির জয়ের ঘোষণা দেন উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশবচন্দ্র মৌর্য। সমাজবাদী পার্টির ‘হৃদয় থেকে বল, আবারও অখিলেশ আসছে (কাহো দিল সে, অখিলেশ ফিরসে)’ স্লোগানকে খোঁচা দিয়ে টুইটারে লেখেন, ‘হৃদয় থেকে বল, ২০২২ সালে আবারও বিজেপি আসছে (কাহো দিল সে, ২০২২ পে ভাজপা ফিরসে)।’
বিরোধীদের মধ্যে সমাজবাদী পার্টি এবং জোটসঙ্গী রাষ্ট্রীয লোক দল (আরএলডি) কিছুটা সম্মানরক্ষা করেছে। নিজেদের গড় এটাওয়া থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে সপা। আজমগঢ় হেসেখেলে জয় পেয়েছেন অখিলেশ যাদবের যাদব। যা উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর লোকসভা কেন্দ্র। এটা, সন্ত কবীর নগর এবং বালিয়ায় বিজেপিকে চমকে দিয়েছে সপা। তবে মণিপুরি, রামপুর, কনৌজ এবং ফিরোজাবাদের মতো দুর্গে ধাক্কা খেয়েছে। ফারুক্কাবাদেও হেরেছে সপা। যেখানে সপার শীর্ষ নেতা ধর্মেন্দ্র যাদবের প্রাক্তন স্ত্রী মণিকা যাদবকে টিকিট দিয়েছিল বিজেপি। আরএলডি জিতেছে বাগপতে। যে কেন্দ্র ঘিরে চরম নাটক হয়েছিল। ‘নিখোঁজ’ হয়ে গিয়েছিলেন আরএলডি প্রার্থী। মিলছিল না নথি। পরে সপা-আরএলডির প্রতিবাদের মুখে ভোট হয়। অন্যদিকে, প্রশাসনের অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে ভোট বয়কট করেছিল মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি)। কংগ্রেসের একটি মাত্র আসনে লড়াই করেছিল। সেখানেও হারের মুখ দেখতে হয়েছে। তাও রায়বরেলীতে সেই ধাক্কা খেয়েছে হাত শিবির। যা কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর নির্বাচনী এলাকা।