প্রধান বিচারপতি বিআর গভাইয়ের দিকে জুতো ছুড়ে মারার চেষ্টা করা আইনজীবী রাকেশ কিশোরের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, সর্বোচ্চ আদালতে তাঁর প্র্যাকটিসের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়া সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনও তাঁর সাময়িক সদস্যপদ বাতিল করেছে। এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে সাসপেনশন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। এর আগে শোনা গিয়েছিল যে কিশোরের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অবমাননার মামলা বিবেচনা করা হচ্ছে। এই বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা চেয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। তবে ঘটনার দিন সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে জিজ্ঞাসাবাদের পর দিল্লি পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দেয়। (আরও পড়ুন: ‘আল্লাহকে…’, জুতো ছোড়ার কাণ্ডে CJI-কে ‘কম কথা বলার’ পরামর্শ প্রাক্তন বিচারপতির)
আরও পড়ুন: ভারতের ওপর থেকে শুল্কের বোঝা সরানোর দাবিতে ট্রাম্পকে চিঠি ১৯ মার্কিন আইনপ্রণেতার
এদিকে বেঙ্গালুরুতে রাকেশ কিশোরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এর আগে অল ইন্ডিয়া লয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ভক্তভাচালার অভিযোগের ভিত্তিতে রাকেশ কিশোরের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (বিএনএস) ধারা নং ১৩২ (সরকারি কর্মচারীকে তাঁর দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার জন্য আক্রমণ বা শক্তি প্রদর্শন) এবং ১৩৩ (গুরুতর উস্কানি ছাড়াই কোনও ব্যক্তিকে অপমান করার উদ্দেশ্যে আক্রমণ বা শক্তি প্রদর্শন)-এর অধীনে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। (আরও পড়ুন: ফের নোবেলের জন্য 'কান্নাকাটি' শুরু ট্রাম্পের, 'শেষ চেষ্টা' হোয়াইট হাউসের)
উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর আদালত চলাকালীন এক আইনজীবী বিচারপতি বিআর গভাইয়ের দিকে জুতো ছুড়ে মারার চেষ্টা করেছিলেন। সেই আইনজীবীর অভিযোগ ছিল, বিচারপতি গভাই সনাতন হিন্দু ধর্মের অবমাননা করেছেন। আইনজীবীর ছুড়ে মারা জুতোটি অবশ্য বিচারপতির গায়ে লাগেনি। পরে প্রবীণ ওই আইনজীবীকে আদালতকক্ষ থেকে বার করে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন সেই আইনজীবীকে চিৎকার করে বলেতে শোনা যায়, 'আমরা সনাতনের অপমান সহ্য করব না।' প্রধান বিচারপতির পাশাপাশি ওই বেঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রন। তবে প্রধান বিচারপতি বিআর গভাই এই ঘটনায় বিচলিত হননি। পাশাপাশি আদালতের কাউকে এর জন্য বিভ্রান্ত হতেও বারণ করেছিলেন তিনি। প্রধান বিচারপতি বিআর গভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেন নরেন্দ্র মোদী। পরে এই ঘটনার নিন্দা করে প্রধানমন্ত্রী এক্স বার্তায় লিখেছিলেন, সমস্ত ভারতবাসী এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ।