শেয়ার বাজারে আদানি গ্রুপের ধস নিয়ে আলোচনার দাবি ঘিরে উত্তাল হল রাজ্যসভা। বিরোধী সাংসদরা দাবি করেন, এলআইসি, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বিনিয়োগ থাকায় কোটি-কোটি ভারতীয় সঞ্চয় বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে আছে। যদিও বিরোধীদের সব নোটিশ খারিজ করে দেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়। তারপর হট্টগোল শুরু করেন বিরোধী সাংসদরা। শেষপর্যন্ত দুপুর দুটো পর্যন্ত রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি করে দেন।
বাজেট অধিবেশনের তৃতীয় দিনের শুরুতেই উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্যসভা। শেয়ার বাজারে আদানি গ্রুপের বিভিন্ন সংস্থার ধস নিয়ে আলোচনার দাবিতে ২৬৭ নম্বর ধারায় নোটিশ দেন কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, শিবসেনার প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী, আম আদমি পার্টি (আপ)-সহ নয়জন বিরোধী সাংসদ। শেয়ার বাজারে আদানি গ্রুপের ধস এবং ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের উপর কী প্রভাব পড়বে, তা নিয়ে আলোচনার দাবি করেন তাঁরা।
বিরোধীরা আরও দাবি করেন, জীবন বিমা নিগমের (এলআইসি) লগ্নির মূল্য কমে যাওয়ায় কোটি-কোটি মানুষের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সঞ্চয় করা অর্থ বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে আছে। সেইসঙ্গে পুরো বিষয়টি (আদানি গ্রুপের বিষয়টি) তদন্তের জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনের দাবি জানান কংগ্রেস, শিবসেনা, আপ-সহ বিরোধী সাংসদরা।
যদিও সব নোটিশ খারিজ করে দেন সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপ-রাষ্ট্রপতি ধনখড়। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বিরোধী সাংসদরা। তাঁরা আসন ছেড়ে উঠে প্রতিবাদ দেখাতে শুরু করেন। শুরু হয় তুমুল হট্টগোল। সেই পরিস্থিতিতে বিরোধী সাংসদের শান্ত হওয়ার আর্জি জানান রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। তাতে অবশ্য ভ্রূক্ষেপ করেননি বিরোধী সাংসদরা। নিজেদের দাবিতে অনড় থাকেন তাঁরা। হট্টগোল করতে থাকেন। সেই পরিস্থিতিতে দুপুর দুটো পর্যন্ত রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি করে দেন ধনখড়।
আদানি গ্রুপের শেয়ারে ধস
গত ২৪ জানুয়ারি মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের তরফে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণা এবং কারচুপির অভিযোগ তোলা হয়েছে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে আদানি গ্রুপ। পালটা ওই মার্কিন সংস্থার বিরুদ্ধে মিথ্যা বলার অভিযোগ তোলা হয়। তারইমধ্যে অবশ্য বাজারে আদানি গ্রুপের শেয়ারে ধস নেমেছে। তারইমধ্যে বুধবার রাতে আদানি এন্টারপ্রাইজের এফপিও তুলে নেওয়া হয়েছে।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)