ছত্তিশগড়ের কোরবা এলাকায় ভয়াবহ ঘটনা। বাড়ির পোষা সারমেয়র মৃত্যু মানতে পারেননি ২০ বছর বয়সী এক তরুণী। কুকুরের গলায় থাকা ওই দড়ি গলায় বেঁধে ঝুলে পড়েছিলেন তিনি। অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। সূত্রের খবর, তিনি তার পোষা কুকুরের মৃত্য়ুর পরে শোকে কাতর হয়ে পড়েছিলেন। তারপরে মর্মান্তিক পরিণতি। সিভিল লাইন পুলিশ স্টেশন এলাকার ঘটনা। তবে সূত্রের খবর, কুকুরটি মারা যাওয়ার পরে ওই তরুণীর বন্ধু তরুণীকে দোষারোপ করা শুরু করেন। তার জন্য কুকুরটি মারা গিয়েছেন বলে নাকি তিনি বলেছিলেন। এরপর আরও ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। অবসাদে ডুবে যান তিনি। আর সেই অবসাদ থেকে বের হতে পারেননি তিনি। অত্যন্ত মর্মান্তিক পরিণতি।
সোমবার ওই তরুণীর দেহ তাঁর বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতের নাম রিচা সন্ধিয়া। তিনি কলেজে পড়াশোনা করতেন। বান্ধবীর সঙ্গে নিয়ে তিনি কুকুর কিনেছিলেন বলে খবর। কুকুরটিকে খুব যত্ন করতেন তিনি। খুব ভালোবাসতেন তিনি। কিন্তু সেই সারমেয়র মৃত্যুর পরে তিনি অবসাদে ডুবে যান। তবে ওই তরুণীর পরিবারের দাবি, অবসাদ ছিল এটা ঠিক কথাই। তবে তার বন্ধু নানাভাবে তাকে হেনস্থা করেছিল। কুকুরটি মারা যাওয়ার পরে তার উপর দোষ চাপানো হয়। তার জেরে হতাশা গ্রাস করেছিল ওই তরুণীকে। তার জেরেই তিনি চরম সিদ্ধান্ত নেন।
সূত্রের খবর, রিচার কলেজের বন্ধু অনিকেত মিশ্রকে সঙ্গে নিয়ে ওই কুকুরটিকে কিনে এনেছিলেন। কুকুরটির দাম ছিল ৪০ হাজার টাকা। কুকুরটির রিচার সঙ্গে থাকত। রিচা ও তার বন্ধু নানাভাবে কুকুরটিকে যত্নে রাখার চেষ্টা করত। কুকুরের প্রতি তাদের ভালোবাসাও ছিল। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরেই কুকুরটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। রিচা চিকিৎসকের কাছেও নিয়ে গিয়েছিল কুকুরটিকে। এরপর কুকুরটির চিকিৎসা শুরু হয়। তবে শেষে মারা যায় কুকুরটির। চিকিৎসকরা চেষ্টার কোনও কসুর করেননি। রিচাও চেষ্টা করেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত সব চেষ্টাকে ব্যর্থ করে মারা যায়। তবে তারপর থেকেই রিচার উপর দোষ চাপাতে শুরু করেছিল তার বন্ধু। এনিয়ে আরও মন খারাপ হয়ে যায় রিচার। তারপরেই অত্যন্ত দুঃখজনক পরিণতি রিচার।
এদিকে কুকুরের প্রতি অনেকেরই নিঃস্বার্থ ভালোবাসা থাকে। সেই ভালোবাসার পরিণতি যে এমন হতে পারে তা ভাবেননি কেউই। তাছাড়া কুকুরের মৃত্যুর পেছনে যে তিনি দায়ী নন সেটা প্রমাণ করার জন্যই কি তিনি এই সিদ্ধান্ত নিলেন?