লকডাউনে পুরো টাকা দিতে হবে। ২৯ মার্চ কেন্দ্রের এই বিজ্ঞপ্তির পর রীতিমত হইহই পড়ে যায় দেশে। অনেক সংস্থাই আদালতের দ্বারস্থ হন। সেই সিদ্ধান্তের ওপর সাময়িক ভাবে রদ করে দেয় কেন্দ্র। কিন্তু সেই বিজ্ঞপ্তিটা যে খুব একটা ভেবে চিন্তে কেন্দ্র দেয় নি, এদিন কার্যত সেটা ফাঁস হয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে।
কেন্দ্রর শীর্ষ আইন অফিসার অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেনুগোপাল বলেন যে ওই বিজ্ঞপ্তিটা ছিল মানুষের কষ্ট দূর করার জন্য। মালিক ও মজদুর যদি নিজেদের মধ্যে রফা করে নেয়, সেখানে কেন্দ্র মাঝে আসবে না, সাফ করেন বেনুগোপাল।
তিনি বলেন যে সরকার চায় অর্থনীতি ফের শুরু হোক। এটা কর্মীদের ওপর মালিকপক্ষের সঙ্গে বসে ঠিক করা লকডাউনে কত টাকা মাইনে তারা পেতে পারে। তখন বিভিন্ন শিল্প যারা এই মামলা করেছে, তারা বলে যে কর্মীরা মধ্যস্থতা করতে আসবে কেন যতক্ষণ সরকারের এই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া আছে।
বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ তখন সরকারকে প্রশ্ন করে যে ১০০ শতাংশ মাইনে দিতে বলা হল কেন। এটা ৫০ বা ৭৫ শতাংশও বলা যেতে পারত। এই বিজ্ঞপ্তি যাতে সবাই মানে সেই ক্ষমতা কী সরকারের আছে, সেই প্রশ্নও করেন অশোক ভূষণ।
১২ জুন এই মামলার রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট। ততদিন মাইনে না দেওয়ার জন্য কোনও সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না বলে জানায় বেঞ্চ।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন যে বিজ্ঞপ্তিটি ছিল পরিযায়ীদের আটকানোর জন্য। মাইনে পেলেই তারা যে রাজ্যে আছেন সেখানে থাকবেন। মানবিকতার খাতিরে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল বলে জানান তিনি।
সুপ্রিম কোর্ট বলে যে কর্মীদের মাইনে দেওয়া ও শিল্প বাঁচানোর মধ্যে একটা ভারসাম্য আনতে হবে। ছোটো শিল্পদের ক্ষেত্রে কেন্দ্রকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হতে পারে বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট। প্রতিটি শিল্পের জন্য আলাদা করে মধ্যস্থতা করার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলে আদালত।