দেশে সাম্প্রতিক এক পরিসংখ্যানে শেষ ৫ বছরের নিরিখে চলতি আর্থিক বছরের শেষে শহুরে বেকারত্বের হার সবচেয়ে কম সাম্প্রতিক অর্থ ত্রৈমাসিকে। এমনই পরিসংখ্যান পেশ করেছে 'পিরিওডিক লেবার ফোর্স সার্ভে'। এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে ‘ন্যাশনাল স্ট্য়াটিসটিকাল অফিস’ থেকে। পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে ২০২৩ সালের মার্চের ত্রৈমাসিকের শেষে শহুরে বেকারত্বের হার ৬.৮ শতাংশ, যা গত ৫ বছরের নিরিখে সবচেয়ে কম।
২৯ মে প্রকাশিত হওয়া তথ্যে জানা গিয়েছে, ২০২৩ মার্চ ত্রৈমাসিকে শুধু যে শহুরে চাকরির ক্ষেত্রেই ভালো তাই নয়, এরসঙ্গে বেকারত্বের হার নামার দিক থেকেই প্রাসঙ্গিক। দেখা যাচ্ছে, এই ত্রৈমাসিকে ২০১৮-১৯ সালের পর সবচেয়ে বেশি চাকরি প্রার্থী বা চাকরিতে অংশগ্রহণকারীরা রয়েছেন। অর্থাৎ লেবার ফোর্স পার্টিসিপেশন রেট বেশি। যার অর্থ হল রেকর্ড সংখ্যা শহুরে বাসিন্দা ২০২২-২৩ সালে পেয়েছেন চাকরি। মার্চের ত্রৈমাসিকে লেবার ফোর্স পার্টিসিপেশন রেট ৩৮.১ শতাংশ। আজিম প্রেমডজি বিশ্ববিদ্যালয়ের অমিত ভোঁসলে বলছেন,'বেকারত্বের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি দেখা যায় শিক্ষিত যুবকদের মধ্যে। এই সংখ্যা কম মানে তা ভালো ইঙ্গিত, তবে যদি 'ওয়ার্কার পপুলেশন রেশিও' না পড়ে যায়।' উল্লেখ্য, ডিসেম্বরের ত্রৈমাসিকে শহুরে বেকারত্বের হার ৭.২ শতাংশ ছিল, তার আগের বছরের ডিসেম্বরের ত্রৈমাসিকে শহুরে বেকারত্বের হার ছিল ৮.২ শতাংশ। সেই জায়গা থেকে স্বস্তি দিচ্ছে ২০২৩ মার্চের ত্রৈমাসিকের হার। উল্লেখ্য, কর্মসংস্থান কিছু কিথু ক্ষেত্রে মরশুমি হয়ে থাকে, যেমন কৃষির ক্ষেত্রে। তাই সারা বছরের নিরিখে এই কর্মসংস্থানের হার নজরে রাখা পরিসংখ্যানের দিক থেকে প্রাসঙ্গিক।
উল্লেখ্য, করোনাকালে বিশ্ব জুড়ে একটা বড় সময় ধরে প্রভাব পড়েছিল কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে। সেই জায়গা থেকে দেখতে গেলে নজরে আনতে হবে PLFS (পিরিওডিক লেবার ফোর্স সার্ভে) পরিসংখ্যান। দেখা যাচ্ছে, ক্রমাগত বাড়ছে পরিবারভিত্তিক কর্মীদের বেতনহীনতার কাহিনি। ২০২১-২২ সাল তা ছিল ১৭.৫ শতাংশ, ২০১৮-১৯ এ ছিল ৪.২। যেখানে ২০২১-২২ সালে বেকারত্বের সংখ্যা তার আগের আর্থিক বছরের থেকে কমেছিল, যে বছর দেখেছিল করোনার সবচেয়ে বেশি প্রভাব, তবে সেই জায়গা থেকেও পরিবারভিত্তিক অবৈতনিক কর্মীদের সংখ্যা বাড়েনি।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup