বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের বিদায়ের নেপথ্যে আমেরিকার হাত নেই বলে সম্প্রতি দাবি করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে সেই আমেরিকারই আবার বাংলাদেশের রাজনৈতিক 'দৃশ্যপট শক্তিশালী' করতে ২৯ মিলিয়ন ডলার খরচ করার কথা ছিল। ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির তরফ থেকে এই দাবি করা হয়েছিল। পাশাপাশি DOGE-এর তরফ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে এও জানানো হয়, বাংলাদেশের জন্যে বরাদ্দ এই অনুদান বন্ধ করা হবে। (আরও পড়ুন: ভারতের রফতানির ওপর কতটা প্রভাব ফেলবে মার্কিন শুল্ক? রিপোর্ট প্রকাশ SBI-এর)
আরও পড়ুন: ইনফোসিসের শতাধিক ফ্রেশার ছাঁটাইয়ের ঘটনায় এবার রিপোর্ট তলব করল কেন্দ্র
এই আবহে বাংলদেশের ওপর কী প্রভাব পড়তে পারে? এই নিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশের সংবাদপত্র প্রথম আলোকে নিজের মতামত জানান ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত মহম্মদ হুমায়ুন কবির। তাঁর দাবি, মার্কিন প্রশাসনের অনুদান না দেওয়ার সিদ্ধান্তের জেরে বাংলাদেশ কিছুটা বঞ্চিত হবে বচে। কবে তেমন কোনও প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে না। এই আবহে তাঁর যুক্তি ছিল, বর্তমানে আমেরিকা পাশে না থাকলেও ইউনুস সরকারের পাশে আছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপানের মতো শক্তি। (আরও পড়ুন: ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তি কবে চূড়ান্ত হবে? বড় দাবি করলেন পীযূষ গোয়েল)
আরও পড়ুন: মোদীর সফরে নীতি বদল USA-র? বিমানে মহিলা-শিশু অবৈধবাসীরা শিকলে বাঁধা ছিলেন না
আরও পড়ুন: উরি হামলার পর থেকে বন্ধ, ভারতের কাছে সার্ক বৈঠকের পক্ষে সওয়াল বাংলাদেশের
এর আগে বাংলাদেশে USAID-এর প্রকল্পগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ইউনুস সেই অনুদান চালুর আবেদন করলেও ট্রাম্প প্রশাসন এখনও তা কানে তোলেনি। এর আগে আবার সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসে আন্তর্জাতিক রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের একটি রিপোর্ট। যা তারা মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টে জমা করেছিল। এনডিটিভি প্রফিটের রিপোর্ট অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের উল্লেখিত রিপোর্ট থেকেই বোঝা যাচ্ছে, কীভাবে হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে ফাঁদ পেতেছিল আমেরিকার একটা অংশ। এদিকে ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের নামে 'রিপাবলিকান' থাকলেও এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির কোনও যোগ নেই। এবং এই প্রতিষ্ঠানে অর্থ সাহায্য করত ইউএস এইড। এরই মাঝে সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে ঢাকায় দেখা করেন মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি জ্যাকবসন। সেখানেই ফের মার্কিন সাহায্য চালুর জন্যে ট্রেসির কাছে আবেদন জানান মহম্মদ ইউনুস। তবে সেই অর্থ সাহায্য পুনরায় চালু করেনি ট্রাম্প প্রশাসন।