আমেরিকা ও চিনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ আরও গভীর হওয়ার আশঙ্কা আবার বাড়ল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার চিনের উপরে শুল্ক বাড়ানোর হুমকি দিয়ে বলেছেন যে, এশিয়া সফরের সময় চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করার কোনও কারণ তিনি আর দেখছেন না। উল্লেখ্য, এর আগে ট্রাম্পের এশিয়া সফরের সময় দুই নেতার মধ্যে বৈঠকের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল এবং ট্রাম্প নিজেও এই খবরে সিলমোহর দিয়েছিলেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে চিনকে নিশানা করেন।
ট্রাম্প লিখেছেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা যে নীতিগুলো বিবেচনা করছি, তার মধ্যে একটি হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসা চিনা পণ্যগুলির ওপর শুল্ক ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করা।’ তিনি আরও বলেন, ‘একইভাবে আরও অনেক উপায় আছে যা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে।’ ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও বলেছেন যে চিন শত্রুতা করছে এবং ইলেকট্রনিক্স, কম্পিউটার চিপস, লেজার এবং অন্যান্য প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত ধাতুগুলির রফতানি নিষিদ্ধ করে বিশ্বকে ‘বন্দী’ বানাচ্ছে। ট্রাম্প আরও লিখেছেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট শিয়ের সঙ্গে কথা বলিনি, কারণ তার কোনও কারণ ছিল না। এটা শুধু আমার জন্য নয়, বিশ্বের সকল নেতার জন্যই একটি সত্যিকারের বিস্ময় ছিল।’
ট্রাম্প কেন এখন রেগে গিয়েছেন?
এই বছরের শুরুতেও দুই দেশ একে অপরের ওপর উচ্চহারে শুল্ক আরোপ করেছিল। বিশ্বের দুটি বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছিল। এখন চিনের বিরল খনিজ রফতানির উপরে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তে আমেরিকা ক্ষুব্ধ হয়েছে। বৃহস্পতিবার চিন বিরল খনিজ এবং সম্পর্কিত সরঞ্জাম রফতানির ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি কিছু লিথিয়াম ব্যাটারি রফতানির উপরও নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা করেছিল। অন্যদিকে, ট্রাম্পের শুল্ক বাড়ানোর সতর্কবার্তার আগে আমেরিকা ও চিন একে অপরের জাহাজের পোর্ট ফি-ও বাড়িয়ে দিয়েছে।