আগেই প্রস্তাব দিয়েছে ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। এবার জো বাইডেন প্রশাসনের তরফে জানানো হল, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) কাছে সাময়িকভাবে করোনাভাইরাস টিকার উপর থেকে মেধাসত্ত্বের অধিকার বা ‘ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইট’ (আইপিআর) প্রত্যাহারের যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তাতে সমর্থন করবে আমেরিকা।
বুধবার একটি বিবৃতি জারি করে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি ক্যাথেরিন টাই জানিয়েছেন, বর্তমানে বিশ্বে যে অভাবনীয় স্বাস্থ্য সংকট চলছে, তা মোকাবিলার জন্য অভূতপূর্ব পদক্ষেপের প্রয়োজন আছে। সেই পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাস টিকার উপর থেকে মেধাসত্ত্বের অধিকার তুলে নেওয়ার পক্ষে আছে আমেরিকা। ক্যাথেরিন বলেন, ‘(বাইডেন) প্রশাসন দৃঢ়ভাবে মেধাসত্ত্বের অধিকার রক্ষায় বিশ্বাস করে। কিন্তু এই (করোনা) মহামারী শেষ করার জন্য বাইডেন প্রশাসন কোভিড-১৯ টিকার উপর সেই ধরনের রক্ষাকরচ তুলে নেওয়ার প্রস্তাবকে সমর্থন করছে।’
যদিও আমেরিকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার আবহে সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। সেই মেধাসত্ত্বের অধিকার প্রত্যাহারের সমর্থন করে আগেই চিঠি লিখেছিলেন ১১০ জন ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা। অন্যদিকে, মেধাসত্ত্বের অধিকার তুলে নেওয়ার বিরোধিতা করেন বিরোধী রিপাবলিকান। বিরোধিতা এসেছিল শীর্ষ মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা এবং মার্কিন চেম্বার্স অফ কমার্সের তরফ থেকেও। তা সত্ত্বেও ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছে আমেরিকা।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, আমেরিকার সেই সিদ্ধান্তের ফলে করোনা টিকার জোগান বাড়বে। সেইসঙ্গে মার্কিন সম্মতির ফলে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সাধারণ পরিষদের পক্ষে ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সেই প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়ার কাজটা অনেকটাই সোজা হয়ে গিয়েছে। যে পরিষদের বৈঠক আপাতত জেনেভায় চলছে। সেই বৈঠকের মধ্যেই করোনা টিকার উপর থেকে মেধাসত্ত্বের অধিকার প্রত্যাহারের জন্য বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে আমেরিকা। ক্যাথেরিন জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব সবথেকে বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে করোনা টিকা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।