পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে সম্ভবত ৩৫ জন চিনা সেনা মারা গিয়েছে, দাবি আমেরিকার।
ভারত-চিন সীমান্ত সংঘাতের দিকে তীক্ষ্ণ নজর রয়েছে আমেরিকার। ইউএস নিউজ সংবাদসংস্থার দাবি, ভারতের আক্রমণে চিনা সেনা মারা যাওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত অপমানজনক ভাবছে চিন। পশাপাশি, প্রতিপক্ষের মনোবল বাড়ার আশঙ্কায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের আসল হিসেব আড়াল করছে বেজিং।
আমেরিকার গোয়েন্দা বিভাগের দাবি, দুর্গম পার্বত্য এলাকায় দুই পক্ষের সেনার মুখোমুখি সংঘর্ষে বেশিরভাগ মৃত্যুই হয়েছে ব্যাটনের আঘাতে, ছুরি বিঁধে এবং পাহাড় থেকে নীচে পড়ে গিয়ে। যদিও এই একতরফা দাবি যাচাই করার উপায় নেই।
আরও পড়ুন: ভারতের জমিতে পূর্ব পরিকল্পিত সংঘর্ষ চিনের, সম্পর্কে পড়বে প্রভাব- বিদেশ মন্ত্রী
এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয় যে, ‘আমরা ভারত-চিন আন্তর্জাতিক সীমান্তের মাঝামাঝি অবস্থিত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (LAC) দুই দেশের সেনার মধ্যে সংঘর্ষে পরিস্থিতির উপরে খুঁটিয়ে নজর রাখছি। আমরা দেখেছি, ভারত তার ২০ জন সেনার মৃত্যুর কথা জানিয়েছে এবং তাঁদের পরিবারের উদ্দেশে আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি। ভারত ও চিন উভয়েই সংঘর্ষ বৃদ্ধি থেকে সরে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে এবং আমরাও চাই বর্তমান সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান হোক।’
আরও পড়ুন: 'প্ররোচিত করলে যোগ্য জবাব দেওয়ার ক্ষমতা আছে', নাম না করে চিনকে হুঙ্কার মোদীর
এর আগে গত ২৮ মে ভার-চিন সীমান্ত বিবাদে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু সেই প্রস্তাবে ভারত ও চিন, দুই দেশই সাড়া দেয়নি। এর পরে অবশ্য এই বিষয়ে নিজে থেকে আর কোনও প্রস্তাব দেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
যদিও আমেরিকার স্বরাষ্ট্র দফতর পূর্ব লাদাখ সীমান্তের দ্বিপাক্ষিক গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনার আগ্রাসনের তীব্র সমালোচনা করে। গোটা পরিস্থিতির জন্য বেজিংকে দায়ী করে হোয়াইট হাউসের বৈদেশিক কমিটিও। জুনের গোড়ায় কমিটির প্রধান এলিয়ট এঙ্গেল বলান, ‘ভারত-চিন সীমান্ত সংলগ্ন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সাম্প্রতিক চিনা আগ্রাসন নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। চিন আবার স্পষ্ট করছে কী ভাবে আন্তর্জাতিক কূটনীতির সাহায্য না নিয়ে বিবাদের সমাধান করতে সে তার প্রতিবেশীদের উপরে জুলুম করে।’