করোনা আবহে ভারতের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই আবহে তিন দফায় করোনা চিকিৎসার সরঞ্জাম পাঠাতে চলেছে আমেরিকা। সেই সাহায্যের প্রথম দফা এদিন সকালে ভারতে এসে পৌঁছল। সি-৫ সুপার গ্যালাক্সি বিমানে করে চিকিৎসা সরঞ্জামগুলি ভারতে পাঠায় ওয়াশিংটন। এরকম আরও দু'টি বিমান ভারতে আসতে চলেছে আগামী ৩ মে-এর মধ্যে।
এদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা বিমানে ৪২৩টি অক্সিজেন সিলিন্ডার ছিল। সেগুলির মধ্যে ২০০টি ডি সাইজ সিলিন্ডার এবং ২২৩টি ছিল এইচ সাইড সিলিন্ডার। এছাড়া প্রায় ২০০টি পালস অক্সিমিটারও ছিল। এগুলি ক্যালিফোর্নিয়া দান করেছে ভারতকে। এছাড়াও ৯ লক্ষ ৬০ হাজার ব়্যাপিড টেস্ট কিট এবং ১ লক্ষ এন৯৫ মাস্ক পাঠিয়েছে আমেরিকা। উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরঞ্জাম আনা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। পরে তা কেটে যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এই সাহায্য হাতে পাওয়ার পর ভারতের তরফে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র টুইট করে লেখেন, 'গোটা বিশ্বের প্রেক্ষিতে এটি তাৎপর্যপূর্ণ এহং কৌশলগত পার্টনারশিপ! স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে আমাদের অংশীদারিত্ব কার্যকরভাবে বিশ্বব্যাপী মহামারী মোকাবিলায় সহায়তা করতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে চিকিত্সা সরাঞ্জম এবং ৪২৩টি অক্সিজেন সিলিন্ডারের উপহারকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।'
এদিকে দ্রুত করোনার ভ্যাকসিন তৈরির সমস্ত সরঞ্জাম দেশে আনার দিকে নজর দিয়েছে ভারত। ইন্ডিয়ান রেড ক্রস সোসাইটির মাধ্যমে অধিকাংশ কাঁচামাল-সহ অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রী আনা হচ্ছে। এছাড়া বেসরকারি উদ্যোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের ও রাজ্য সরকারগুলির উদ্যোগেও বিদেশ থেকে সরঞ্জাম আসছে।
উল্লেখ্য, করোনা আবহে আমেরিকা ছাড়াও বিভিন্ন দেশ ভারতকে সাহায্য করার কথা জানিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জরুরি ওষুধ ও অক্সিজেন সংক্রান্ত সরঞ্জামের দিকেই বেশি নজর দিতে বলা হয়েছে সাহায্য দিতে চাওয়া দেশগুলিকে। বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে অক্সিজেন জেনারেশন প্ল্যান্ট, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর এবং ছোট ও বড় অক্সিজেন সিলিন্ডারের দিকে। এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশ থেকে রেমডিসিভির, টোসিলিজুমাব এবং ফ্যাবিপিরাভিরের মতো গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ আনার দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে।