শিশির গুপ্ত
সোমবারই নয়া দিল্লিতে মুখোমুখি হয়েছিলেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন ও ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন পছন্দের ক্ষেত্র নিয়ে দুই ব্যক্তিত্বের মধ্যে রাজধানীর বুকে চলে হাইভোল্টেজ বৈঠক। সেই আলোচনায় উঠে আসে, সেনা, নৌসেনা, বায়ুসেনার ক্ষমতা বাড়াতে নানান আলোচনা। যে আলোচনার ফোকাসে ছিল অবশ্যই প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের প্রযুক্তি। আর সেই প্রযুক্তি আরও উন্নত করতে দুই পক্ষের মধ্যে বিভিন্ন দিকের চর্চা উঠে আসে।
দুই পক্ষের তরফেই প্রযুক্তির আদানপ্রদান নিয়ে নানান কথা হয়। ফলে মার্কিন মুলুক থেকে প্রতিরক্ষা বিষয়ে ভারতে প্রযুক্তি আসার বিষয়টিও আলোচনায় আসে। এছাড়াও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারতের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ ও ‘আত্মনির্ভর ভারত’ উদ্যোগকে সঙ্গে নিয়েই দুই দেশ নিজের নিজের দেশে প্রতিরক্ষাগত প্রযুক্তি গড়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিনের আলোচনায় আসে, ইন্দো পেসিফিক, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার প্রসঙ্গ। একইসঙ্গে মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়া প্রসঙ্গও ওঠে। এই এলাকাগুলি যাতে স্বতঃস্পূর্তভাবে জাতীয় বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে এগিয়ে যেতে পারে, সেই বিষয়টিকেও নিশ্চয়তার মধ্যে রাখার কথা হয়েছে। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ এশিয়া, বিশেষত দক্ষিণ চিন সাগরে জুড়ে বেজিংয়ের দাদাগিরির বিপক্ষেই আওয়াজ তুলেছে আমেরিকা। সেই একই কণ্ঠস্বর নয়া দিল্লির গলাতেও শোনা গিয়েছে এযাবৎকালে। এদিনের বৈঠকে ভারত ও আমেরিকার বাণিজ্যগত শিল্পমহলে ‘সাপ্লাই চেইন’ যাতে মসৃণ থাকে, সেই নিয়েও হয়েছে আলোচনা। দুই দেশের ‘ইন্ডাস্ট্রি টু ইন্ডাস্ট্রি’ সহযোগিতা যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে, সেই বিষয়ে উঠে এসেছে বার্তা।
উল্লেখ্য়, আমেরিকার প্রতিরক্ষাসচিব লয়েড অস্টিন দুই দিনের দিল্লি সফরে এসেছেন। এই সফরে তিনি ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। মিডিয়ার মুখোমুখি হতেই অস্টিন বলেন, ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা-বাণিজ্যশিল্পগত সহযোগিতা বজায় রেখে চলার পথে অঙ্গীকারবদ্ধ। ইন্দো-পেসিফিকে অবাধ যাতায়াতের ক্ষেত্রে দুই দেশই সায় দিয়েছে বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব। অস্টিন বলেন, ‘আমাদের অংশীদারিত্ব দ্রুত বাড়ছে। আর আমরা প্রতিরক্ষা শিল্প সহযোগিতা সম্প্রসারণের দিকে তাকিয়ে আছি।’ উল্লেখ্য, মার্কিন মুলুকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রওনা হওয়ার আগে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের এই সফর বড় পদক্ষেপ।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup