বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দাবি করেছেন যে পাকিস্তান এমন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে যা দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে কোথাও আঘাত হানতে পারবে, এমনকী আমেরিকায় পর্যন্ত আঘাত হানতে পারবে। রিপোর্ট অনুযায়ী, আমেরিকার ডেপুটি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন ফিনার পাকিস্তানের 'উদ্দেশ্য' নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, 'সত্য়ি বলতে এই বিষয়টি দেখে আমাদের মনে হচ্ছে পাকিস্তানের এই সব কার্যকলাপ আমেরিকার জন্যে ক্রমবর্ধমান হুমকিতে পরিণত হচ্ছে।' (আরও পড়ুন: কর্ণাটকে আটক ১৫৯ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী, সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন মন্ত্রীর)
আরও পড়ুন: প্রবাসী ভারতীয়রা দেশে যত টাকা পাঠান, বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মিলিত বাজেটের তা...
উল্লেখ্য, সম্প্রতি পাকিস্তানের নতুন ব্যালিস্টিক মিসাইল প্রোগ্রামের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল আমেরিকা। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কমপ্লেক্স ও তিনটি প্রতিষ্ঠানকে একটি নির্বাহী আদেশে 'গণবিধ্বংসী অস্ত্রের সরবরাহকারী' আখ্যা দেওয়া হয়েছে এবং তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে পাকিস্তানের এই সংস্থাগুলির যেকোনও মার্কিন সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারবে ওয়াশিংটন। এরই সঙ্গে আমেরিকানরা তাদের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারবে না। এদিকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ 'দুর্ভাগ্যজনক ও পক্ষপাতদুষ্ট'। তাদের অভিযোগ, 'সামরিক বৈষম্য বাড়ানোর লক্ষ্যে' আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে মার্কিন এই সিদ্ধান্ত। (আরও পড়ুন: রাহুল গান্ধীর 'কাছে আসা' নিয়ে BJP-র মহিলা সাংসদের অভিযোগের জবাব এল, কংগ্রেস বলল…)
আরও পড়ুন: সাসপেনশন উঠেছে ফের সাসপেন্ড হবেন বলে! তন্ময়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের পথে সিপিএম
উল্লেখ্য, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক ফ্যাক্টশিটে বলা হয়েছে, ইসলামাবাদভিত্তিক এনডিসি দেশের দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক-ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এবং ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সরঞ্জামের জন্য উপাদান সংগ্রহের চেষ্টা করেছিল সম্প্রতি। এতে বলা হয়, এনডিসি পাকিস্তানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নের জন্য দায়ী। এর মধ্যে শাহিন সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলি রয়েছে। প্রসঙ্গত, শাহিন সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলি পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম। প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে সপ্তম দেশ হিসেবে প্রথম পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালায় পাকিস্তান। বুলেটিনের হিসাব অনুযায়ী, পাকিস্তানের অস্ত্রাগারে প্রায় ১৭০টি ওয়ারহেড রয়েছে। এই আবহে পাকিস্তানের ব্যালিস্টিক মিসাইল প্রোগ্রামে নিষেধাজ্ঞা জারি করে তাদের পারমাণবিক ক্ষমতা খর্ব করেছে আমেরিকা। আর সেই পাকিস্তান নাকি আবার সম্প্রতি চিনের থেকে পারমাণবিক অস্ত্র পাওয়ার চেষ্টা শুরু করেছে। এহেন দেশের থেকেই বাংলাদেশিরা আবার পারমাণবিক সাহায্যের আশা করে। তবে এককালের 'বন্ধু' পাকিস্তানের ওপর সম্প্রতি ব্যালিস্টিক মিসাইল ইস্যুতে বেজায় চটেছে আমেরিকা।