মার্কিন অর্থনীতিতে মন্দার পূর্বাভাস মিলিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। মন্দার পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে তাঁর রেকর্ড ১০০ শতাংশ। সেই প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদই দিলেন আরও এক কঠিন সময়ের ইঙ্গিত। অর্থনীতিবিদ ক্যাম্পবেল হার্ভের সাম্প্রতিক বার্তায় নিয়ে তাই তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। ঠিক কী বলেছেন তিনি?
ক্যাম্পবেল হার্ভে জানিয়েছেন, ফের মন্দার আবহ তৈরি হচ্ছে মার্কিন অর্থনীতিতে। তবে এর মধ্যে কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, অর্থনীতিক চাকা ক্রমেই ধীর হতে থাকবে। তবে একেবারে চরম মন্দার সম্ভাবনা কম। আরও পড়ুন: ১ লাখ কমে ঠেকল ৬৬৭ টাকায়! রিলায়েন্স কমিউনিকেশনের শেয়ারে বরবাদ বিনিয়োগকারীরা
ডিউকস ইউনিভার্সিটির এই অধ্যাপক জানান, মন্দার পূর্বাভাস দেওয়ার ৮টি সূচক রয়েছে। তার প্রতিটিতেই মিলছে লাল সংকেত। অর্থাত্ মন্দা যে আসছে, তাই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। মঙ্গলবার দেওয়া সেই সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, তা সত্ত্বেও কিছু ভুল সংকেতও উঠে আসতে পারে এই পর্যবেক্ষণে। তাঁর মতে আগের মন্দাগুলির থেকে শিক্ষা নিয়ে এখন সকলে সচেতন। ফলে সঞ্চয়ের প্রবণতা তৈরি হয়েছে। বড় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সাবধানী হয়ে যাবেন সকলে।
চাকরির বাজার নিয়ে কী বলছেন তিনি? তাঁর কথায়, একাংশে ছাঁটাই বাড়ছে বটে। তবে বাজারে অতিরিক্ত চাহিদাও রয়েছে। ফলে ছাঁটাই হওয়া কর্মীরাও আগের তুলনায় দ্রুত নতুন কাজ পেয়ে যাবেন। এছাড়া তিনি বলেন, বর্তমানে প্রযুক্তি খাতে সবচেয়ে বেশি চাকরি যাচ্ছে। কিন্তু এই কর্মহীন ব্যক্তিরা অত্যন্ত দক্ষ। ফলে তাঁদেরও বেশিদিন বেকার থাকতে হবে না।
যদিও সকলে ক্যাম্পবেল হার্ভের এই পূর্বাভাসের সঙ্গে একমত নন। ওয়াল স্ট্রিটের অনেক সংস্থাই চলতি বছর বা ২০২৪ সালের শুরুর দিকে মন্দা তুঙ্গে পৌঁছাবে বলে মনে করছেন। মুদ্রাস্ফীতির উপর লাগাম লাগাতে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ বিপুল হারে সুদ বাড়িয়েছে। আর তার প্রভাবেই মন্দা আসতে পারে বাজারে। এমনটাই মত সিংহভাগ বিশেষজ্ঞদের। খোদ ফেডারেল রিজার্ভের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অ্যালান গ্রিনস্প্যানও মঙ্গলবার এমন সম্ভাবনার কথা জানান। একই সুর নিউ ইয়র্কের প্রাক্তন ফেড প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম ডুডলিরও। আরও পড়ুন: ৩ বছরে ৪৫০% উত্থান এই সংস্থার শেয়ারে! আপনার বিনিয়োগ আছে কি?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মন্দা হলে বিশ্বজুড়ে তার প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষত ভারতের প্রযুক্তি খাতের একটি বড় অংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থার থেকে আউটসোর্সিংয়ে কাজ করে। সেখানকার 'ক্লায়েন্টে'র সংখ্যাও কম নয়। ফলে সেদেশে খরচ কমানো, বিনিয়োগ হ্রাস পেলে ভারতেও তার প্রভাব পড়তে বাধ্য।