আমেরিকার ৭ 'সুইং স্টেটে' নাকি এগিয়ে আছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনই দাবি করা হল সাম্প্রতিক অ্যাটলাস ইন্টেলের সমীক্ষায়। প্রসঙ্গত, মার্কিন মুলুকের জটিল নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যে প্রার্থী 'সুইং স্টেটগুলিতে' এগিয়ে থাকে, পাল্লা তাদেরই ভারী থাকে। এই আবহে অ্যাটলাস ইন্টেল তাদের সর্বশেষ সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে বলেছে, নর্থ ক্যারোলাইনা, জর্জিয়া, অ্যারিজোনা, নেভাদা, উইসকনসিন, মিশিগান এবং পেনসিলভেনিয়ায় এগিয়ে গিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে অ্যান সেলজারের সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছিল, 'রিপাবলিকান' হিসেবে চিহ্নিত আইওয়া প্রদেশে নাকি কমলা হ্যারিস এগিয়ে। (আরও পড়ুন: খলিস্তানি তাণ্ডবের পর কানাডার শহরে প্রার্থনাস্থলের সামনে বিক্ষোভ নিষিদ্ধ হবে?)
আরও পড়ুন: ৫০০ কোটি খরচের ঘোষণা মন্ত্রীর, কেন্দ্রের থেকে বেশি ডিএ বাড়ল রাজ্যে
আরও পড়ুন: AQI ১৯০০ পার, লাহোরের বাতাসে 'বিষ'! ভারতকে 'দুষল' পাকিস্তান
এদিকে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে অ্যাটলাস ইন্টেলের সমীক্ষা বলছে, অ্যারিজোনায় ট্রাম্পের পক্ষে জনমত ৫২.৩ শতাংশ এবং কমলা হ্যারিসের পক্ষে জনমত ৪৫.৮ শতাংশ। নেভাদায় ট্রাম্পের পক্ষে জনমত ৫১.২ শতাংশ এবং কমলা হ্যারিসের পক্ষে জনমত ৪৬ শতাংশ। নর্থ ক্যারোলাইনায় ট্রাম্পের পক্ষে জনমত ৫০.৫ শতাংশ এবং কমলা হ্যারিসের পক্ষে জনমত ৪৭.১ শতাংশ। জর্জিয়ায় ট্রাম্পের পক্ষে জনমত ৫০.১ শতাংশ এবং কমলা হ্যারিসের পক্ষে জনমত ৪৭.৬ শতাংশ। মিশিগানে ট্রাম্পের পক্ষে জনমত ৪৯.৭ শতাংশ এবং কমলা হ্যারিসের পক্ষে জনমত ৪৮.২ শতাংশ। পেনসিলভেনিয়ায় ট্রাম্পের পক্ষে জনমত ৪৯.৬ শতাংশ এবং কমলা হ্যারিসের পক্ষে জনমত ৪৭.৮ শতাংশ। উইসকনসিনে ট্রাম্পের পক্ষে জনমত ৪৯.৭ শতাংশ এবং কমলা হ্যারিসের পক্ষে জনমত ৪৮.৬ শতাংশ। (আরও পড়ুন: কানাডার মন্দিরে 'ভারত বিরোধীদের' হামলা, খলিস্তানিদের কী বললেন ট্রুডো?)
আরও পড়ুন: মাদ্রাসে দাদুর থেকে গণতন্ত্রের জন্যে লড়াইয়ের গুরুত্ব শিখেছি: কমলা হ্যারিস
আরও পড়ুন: কানাডার মন্দিরে খলিস্তানিদের হামলার নিন্দায় ভারত, তুলে ধরল ট্রুডোর ব্যর্থতা
উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি প্রদেশের প্রতিটির জন্যে নির্ধারিত আছে নির্দিষ্ট সংখ্যক ইলেক্টোরাল কলেজ বা ভোট। আমেরিকায় মোট ইলেক্টোরাল কলেজ ৫৩৮। অর্থাৎ, যে প্রার্থী ২৭০ ইলেক্টোরাল কলেজ পাবেন, তিনি জয়ী হবেন। তবে মাইন ও নেব্রাস্কা ছাড়া প্রতিটি প্রদেশেরই সব ইলেক্টোরাল কলেজ 'সংখ্যাগরিষ্ঠতার' ভিত্তিতে দেওয়া হয় সেই রাজ্যের জয়ী প্রার্থীকে। উদাহরণস্বরূপ, ক্যালিফোর্নিয়ার হাতে রয়েছে ৫৪টি ইলেক্টোরাল কলেজ। সেই রাজ্যে যে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাবে, তার ঝুলিতেই সব ইলেক্টোরল কলেজ যাবে। এখানে যদি দেখা যায়, ভোটের অনুপাতে ট্রাম্পের ঝুলিতে ২০টি ইলেক্টোরাল কলেজ যাওয়া উচিত এবং কমলা হ্যারিসের ঝুলিতে যাওয়া উচিত বাকি ৩৪টি, তাতে ফলাফলে কোনও হেরফের হবে না। প্রদেশে এগিয়ে থাকার ফলে ক্যালিফোর্নিয়ার ৫৪টি ইলেক্টোরাল কলেজই পাবেন কমলা হ্যারিস। অর্থাৎ, সেই রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ ইলক্টোরাল কলেজ পাওয়ার ফলে সবকটি ইলেক্টোরাল কলেজই যাবে ডেমোক্র্যাটদের খাতায়। তবে শুধুমাত্র মাইন এবং নেব্রাস্কা প্রদেশে যে যটা ইলেক্টোরাল কলেজে জয়ী, সে সেই সংখ্যক ইলেক্টোরাল কলেজই পাবেন। (আরও পড়ুন: UP-তে মহিলাকে যৌনাঙ্গ দেখিয়ে বিপাকে কংগ্রেস নেতা! কী বলছে জোটসঙ্গী SP?)
এদিকে ঐতিহাসিক ভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কিছু প্রদেশে একছত্র ভাবে আধিপত্ব বজায় রেখেছে কোনও এক রাজনৈতিক দল। যেমন নিউইয়র্ক, ক্যালিফর্নিয়ার মতো প্রদেশে জিতে আসে ডেমোক্র্যাটরা। আবার টেক্সাস ঐতিহাসিক ভাবে রিপাবলিকানদেরই গড়। এই আবহে 'সুইং স্টেটগুলির' ওপর বেশি নজর থাকে নির্বাচনের ফলাফলের জন্যে। কারণ নির্বাচনের মোড় ঘোরাতে পারে সেই সাতটা প্রদেশের ফল। এই আবহে একজন প্রার্থী সার্বিক ভাবে সারা দেশে প্রতিদ্বন্দ্বীর থেকে কম সংখ্যক ভোট পেয়েও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতে যেতে পারেন।