একটা সময় কমলা হ্যারিসের জাতিগত সত্ত্বা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এমনকী কথায় কথায় তাঁকে ব্যক্তিগত ভাবে আক্রমণ করতেন। এরপর নির্বাচনে কার্যত দুরমুশ করে দেন। এহেন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফোন করলেন কমলা হ্যারিস। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হার মেনে নিলেন কমলা। ফোনে ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানালেন তিনি। পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ ভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা হয় কমলার। এছাড়া ট্রাম্পকে 'গোটা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট' হওয়ার পরামর্শ দেন কমলা।
উল্লেখ্য, নির্বাচনের কয়েক মাস আগেই লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন জো বাইডেন। এই আবহে হাতে খুবই অল্প সময় নিয়ে ময়দানে নেমেছিলেন কমলা। তবে প্রাথমিক ভাবে জনমত সমীক্ষার ফলাফল কমলার জন্যে বেশ স্বস্তিদায়ক ছিল। এরই মাঝে ট্রাম্প ক্রমাগত আক্রমণ শানিয়ে গিয়েছিলেন কমলাকে। একটা সাক্ষাৎকারে তো কমলার জাতিগত সত্ত্বা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ট্রাম্প। হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট সেই সময় বলেছিলেন, 'আমি তো কয়েক বছর আগে পর্যন্ত জানতাম না যে কমলা হ্যারিস কৃষ্ণাঙ্গ। কয়েক বছর আগে তিনি হঠাৎ করে কৃষ্ণাঙ্গ হয়ে যান। এখন তিনি দাবি করেন, তাঁকে যাতে কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। কমলা চিরকালই নিজের ভারতীয় সংস্কৃতি তুলে ধরেছেন। তাই এখন আমি জানি না, তিনি কি ভারতীয় নাকি তিনি কৃষ্ণাঙ্গ?' উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এবং কৃষ্ণাঙ্গদের পূর্ণ সমর্থন কমলা হ্যারিসের দিকে ছিল না।
এদিকে নির্বাচনী প্রচারের সময় কমলাও ট্রাম্পকে আক্রমণ শানিয়েছিলেন। যদিও এভাবে ব্যক্তিগত কোনও ইস্যু তুলে ধরে ট্রাম্পকে তোপ দাগেননি তিনি। তবে গতকাল হার প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পরে তাঁর শিবির থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, আপাতত জনসমক্ষে কোনও ভাষণ দেবেন না হ্যারিস। তখনও যদিও পেনসিলভেনিয়ার ফল প্রকাশ হওয়া বাকি ছিল। খাতায়-কলমে ট্রাম্প 'ম্যাজিক ফিগার' পার করেননি। তবে যতই সময় গড়িয়েছে, নিশ্চিত হয়েছে ট্রাম্পের জয়। এই আবহে শেষ পর্যন্ত ট্রাম্পকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানালেন কমলা। এর আগে ২০২০ সালের নির্বাচনের পর ট্রাম্প হার মানতে অস্বীকার করেছিলেন। এমনকী ক্ষমতা হস্তান্তরের ক্ষেত্রেও তিনি সমস্যা তৈরি করেছিলেন। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে তাঁর অনুগামীরা ক্যাপিটল হিলে হামলা চালিয়েছিল। এরপরও গত ৪ বছরে একাধিক মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন ট্রাম্প। দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন পর্নস্টারকে ঘুষ দেওয়ার মামলায়। তাঁর ওপর প্রাণনাশী হামলা হয়েছে দু'বার। সব কিছু পার করে ফের হোয়াইট হাউজের চাবি নিজের হাতের মুঠোয় পেয়ে যান ট্রাম্প।