ক্রমশই ফিকে হচ্ছে তাঁর সাদা বাড়িতে আরো চার বছর থাকার স্বপ্ন। ফলে ক্রমশই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাংবাদিক সম্মেলন করে ফের তুললেন কারচুপির অভিযোগ, কিন্তু দিতে পারলেন না কোনও প্রমাণ। ডেমোক্র্যাটরা জয় চুরি করে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ট্রাম্প বলেন,'যদি কেউ বৈধ ভোট গোনে, তাহলে আমি সহজেই জিতেছি। যদি অবৈধ ভোট গোনা হয়, তাহলে ওরা আমাদের থেকে নির্বাচন চুরি করে নিতে পারে। আমি অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে জিতেছি। বড় জয় পেয়েছি ফ্লোরিডা, আইওয়া, ইন্ডিয়ানা, ওহাইও সহ বিভিন্ন রাজ্যে। টাকা ও তথ্যপ্রযুক্তির হস্তক্ষেপ উপেক্ষা করে আমরা জিতেছি'।
নিজেকে আন্ডারডগ হিসেবে প্রোজেক্ট করার জন্য ট্রাম্প বলেন ডেমোক্র্যাটদের কাছে অনেক টাকা আছে, অনেক চাঁদা দেওয়ার লোক আছে, বড় বড় টেক সংস্থাদের সমর্থন আছে। কিন্তু তাঁর দল রিপাবলিকান পার্টি সাধারণ মার্কিন কর্মীদের দিয়ে গড়া বলে দাবি করেন ট্রাম্প। যেভাবে সমীক্ষকরা তাঁকে ভোট পূর্ববর্তী হিসেবে অনেক পিছনে দেখিয়েছিলেন সেটি নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার উদাহরণ বলে তিনি জানান।
ট্রাম্প বলেন যে তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ সব রাজ্যে এগিয়েছিলেন তারপর তাদের সংখ্যা কমতে থাকে হঠাৎ করে। তাঁদের অবজারভারদের বুথে গণনা দেখতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও তিনি অভিযোগ করেন। পুরো প্রক্রিয়াটিকে আনফেয়ার বলে বর্ণনা করে ট্রাম্প মেইল-ইন- ব্যালট অর্থাৎ পোস্টাল ব্যালট সম্পর্কে নিজের আপত্তি জানান।
তিনি বলেন যে কোনও যাচাইয়ের প্রক্রিয়া ছাড়াই লক্ষ লক্ষ ব্যালট ডাকের মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে ও পুরো প্রক্রিয়াটির মধ্যে রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি ভরপুর। বিভিন্ন রাজ্য যেখানে ডেমোক্র্যাট গভর্নর আছে সেখানে সঠিক ভাবে গণনা হচ্ছে না বলে তিনি অভিযোগ করেন। তাঁর মতে কে জিতল সেটি বড় কথা নয়, কিন্তু প্রক্রিয়াটি সঠিক হয়া উচিত। শেষ পর্যন্ত বিচারকরাই চূড়ান্ত রায় দেবেন বলে তিনি জানান।
২৭০ ইলেকটরাল কলেজ আসন পেলেই জয়ী হবেন বাইডেন। এই মুহূর্তে তিনি জিতেছেন ২৬৪। ট্রাম্প অনেকটাই পিছিয়ে ২১৪ আসনে। বাইডেন নেভাডায় এগিয়ে আছেন। সেখানে জিতলেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন তিনি। পেনসেলভ্যানিয়া, জর্জিয়াতেও বাইডেন ব্যবধান কমাচ্ছেন। তাই মনে হচ্ছে শেষ পর্যন্ত সব অনুমানমাফিক গেলে ৩০০ আসন পেয়ে হোয়াইট হাউসের দখল দেবেন প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি। সেটা ট্রাম্প মেনে নেবেন কিনা, সেই প্রশ্ন থেকেই যায়।