মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা ভিয়াট্রিসের ভারতীয় কারখানায় তৈরি ১১টি ওষুধের আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল আমেরিকা। এই নিয়ে একটি সতর্কীকরণ চিঠি ইস্যু করেছে ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, ভারতের মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে অবস্থিত ভিয়াট্রিসের ওষুধ প্রস্তুতকারী কারখানায় পরিদর্শন করেছিলেন মার্কিন আধিকারিকরা। তবে সেই পরিদর্শনের সময় নাকি দেখা গিয়েছে, মার্কিন নিয়ম মেনে ওষুধ তৈরি হচ্ছে না। তবে ঠিক কোন নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। এদিকে ভিয়াট্রিসের তরফ থেকেও জানানো হয়েছে, ইন্দোরের কারখানায় তৈরি হওয়া ওষুধ নিয়ে সতর্কীকরণ চিঠি ইস্যু করেছে ইউএস এফডিএ। তবে ওষুধ প্রস্তুতকারক মার্কিন সংস্থাটিও বিশদ কোনও তথ্য প্রকাশ করেনি এই সংক্রান্ত।
তবে ভিয়াট্রিস নিজেদের প্রকাশিত বিবৃতিতে বলেছে, যতদিন না উল্লেখিত ১১টি ওষুধের ক্ষেত্রে ইস্যু হওয়া সতর্কীকরণ চিঠি এফডিএ-র তরফ থেকে প্রত্যাহার করা হচ্ছে , ততদিন সেই ওষুধগুলি আমেরিকায় আমদানি করা যাবে না। এদিকে কোন ১১টি ওষুধ নিয়ে এফডিএ এই সতর্কীকরণ চিঠি ইস্যু করেছে, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। উল্লেখ্য, ইন্দোরের যে কারখানায় তৈরি ওষুধ নিয়ে এত কাণ্ড, সেই কারখানায় ট্যাবলেট এবং ক্যাপসুল আকারে ওষুধ তৈরি হয় বলে জানিয়েছে মার্কিন সংস্থা ভিয়াট্রিস।
এদিকে আচমকা এই নিষেধাজ্ঞা জারির ফলে বাজারে সংশ্লিষ্ট ওষুধের ঘাটতি দেখা দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় নাকি ৪টি ওষুধের ক্ষেত্রে শর্তসাপেক্ষে আমদানির অনুমোদন দিয়েছে এফডিএ। ভিয়াট্রিস জানিয়েছে, আলোচনার পরে এভাবে শর্তসাপেক্ষে আরও ওষুধকে ছাড় দিতে পারে এফডিএ। এরই সঙ্গে ভিয়াট্রিস জানিয়েছে, এফডিএ-র ইস্যু করা চিঠির জবাব ইতিমধ্যেই তারা দিয়েছে। এর পাশাপাশি ইন্দোরের কারখানায় তারা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এদিকে নিয়ম যাতে লঙ্ঘিত না হয়, তা নিশ্চিত করতে একটি তৃতীয়পক্ষের সংস্থাকেও নিয়োগ করেছে ভিয়াট্রিস। এদিকে এই গোটা ঘটনা নিয়ে আরও প্রশ্ন নিয়ে ভিয়াট্রিস এবং এফডিএ-র দরবারে দ্বারস্থ হয়েছিল বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তবে রিপোর্ট অনুযায়ী, রয়টার্সের কোনও প্রশ্নের জবাব দেয়নি কোনও পক্ষই। প্রসঙ্গত, ভিয়াট্রিস সংস্থাটি তৈরি হয়েছিল ২০২০ সালে। মাইলান এবং ফাইজারের অধীনে থাকা একটি সংস্থার মিলনে এই ভিয়াট্রিসের জন্ম। এই সংস্থার ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ভারতের ৪টি জায়গায় ওষুধ তৈরি করে তারা। বিভিন্ন অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল, ডায়েবেটিক, কার্ডিওভাস্কুলার থেরাপি সংক্রান্ত ওষুধ তৈরি করে তারা।