জাতীয় নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে, চিনে মার্কিন বিনিয়োগের উপর নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মূলত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। তা হল সেমিকন্ডাক্টর এবং মাইক্রোইলেক্ট্রনিক্স, কোয়ান্টাম তথ্য প্রযুক্তি এবং বেশ কিছু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সিস্টেম। এই নতুন নিয়মগুলি, আগামী ২ জানুয়ারি থেকে কার্যকর করা হবে। ট্রেজারির নতুন অফিস অফ গ্লোবাল ট্র্যানস্যাকশন এই নিয়মের নজরদারি করবে৷
ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের মতে, এই নতুন নিয়মের অধীনে, আমেরিকার নাগরিক, স্থায়ী বাসিন্দা এবং সে দেশের সংস্থাগুলি এআই, সেমিকন্ডাক্টর এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি খাতে চিনে বিনিয়োগ করতে পারবে না। নিজ দেশের সামরিক ব্যবস্থা উন্নতি করতে, ইন্টেলিজেন্স ও সাইবার সিকিউরিটির উন্নতি করতে, চিন যাতে এই অনন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করতে না পারে, সেই জন্যই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: (Reliance Diwali Gift: শুধু বাদাম, প্রদীপ নয় গণেশ মূর্তিও দীপাবলিতে গিফট দিল রিলায়েন্স, খুশি কর্মীরা)
কম উন্নত প্রযুক্তির উপরও নজরদারি করা হবে
অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বাদ দিয়ে, কিছুটা কম উন্নত প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করতে চাইলেও, আমেরিকান বিনিয়োগকারীদের সে সম্পর্কে ট্রেজারি বিভাগকে জানাতে হবে। এ প্রসঙ্গে, ট্রেজারির সহকারি সেক্রেটারি পল রোজেন বলেছেন যে আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির হাত থেকে বাঁচাতেই এই পদক্ষেপ।"
জুন মাসে মার্কিন ট্রেজারি দ্বারা প্রস্তাবিত এই নিয়ম, ২০২৩ সালের অগস্টে রাষ্ট্রপতি বিডেনের স্বাক্ষরিত একটি এক্সিকিউটিভ অর্ডার অনুযায়ী জারি করা হয়েছে। আসলে, গত বছর রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন বলেছিলেন, সেমিকন্ডাক্টর, মাইক্রোইলেক্ট্রনিক্স, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এবং কিছু এআই খাতে বিনিয়োগের উপর নিষেধাজ্ঞার জারি করা প্রয়োজন।
এরই সঙ্গে বাইডেন সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে মার্কিন বিনিয়োগ প্রতিপক্ষ দেশগুলিকে সংবেদনশীল প্রযুক্তি বিকাশে সহায়তা করতে পারে। আর এটি সেই দেশগুলোর সামরিক, ইন্টেলিনজেন্স, সাইবার নিরাপত্তায় সক্ষমতাও বাড়াতে পারে। এর দরুণ ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে আমেরিকা।
আরও পড়ুন: (Sikkim assembly by election: সিকিমে উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতল SKM, বিরোধীশূন্যই রইল বিধানসভা)
চিনের কড়া প্রতিক্রিয়া
বলা বাহুল্য, আমেরিকার এই পদক্ষেপের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। চিন আমেরিকার পদক্ষেপের বিরুদ্ধে অফিশিয়াল আপত্তিও জানিয়েছে। এ প্রসঙ্গে চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, চিনে বিনিয়োগে বিধিনিষেধ আরোপ করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে বেইজিং গভীরভাবে অসন্তুষ্ট এবং দৃঢ়ভাবে বিরোধিতা করছে।