দীর্ঘ জটিলতার পর ভারতকে করোনা টিকা তৈরির কাঁচামাল পাঠাতে চলেছে আমেরিকা। এই আবহে আরও বড় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে বাইডেন প্রশাসন। জানা গিয়েছে ভারত সহ বেশ কয়েকটি দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পাঠাতে পারে আমেরিকা। বর্তমানে মার্কিন মুলুকে ৪ কোটি অ্য়াস্ট্রাজেনেকা টিকার ডোজ মজুত রয়েছে। ফেডারেল সুরক্ষা মূল্যান সম্পন্ন হলেই এই টিকা পাঠানো হতে পারে। ইতিমধ্যেই মেক্সিকো এবং কানাডাকে টিকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা।
ওয়াশিংটনের তরফে ইতিমধ্যেই জানানো হয়, ভারতের ভয়াবহ কোভিড সংকটের সমাধান খুঁজতে আমেরিকা ভারতকে সহযোগিতা করবে। উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে ভারতকে ভ্যাকসিন-সহ বিভিন্ন জীবনদায়ী ওষুধ দিয়ে সাহায্য করার বিষয়ে বাইডেন সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে আমেরিকার ইউএস চেম্বার্স-সহ বিভিন্ন মহল।
বিশেষজ্ঞদের মত, আমেরিকায় শক্তিশালী ইউএস চেম্বার্স অফ কমার্স, আইনি মহল আর ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান ও অন্যান্য মহলের চাপের মুখে পড়েই বাইডেন প্রশাসনে ভারতে সব রকম জীবন-দায়ী ওষুধ পাঠানোর ক্ষেত্রে আশ্বাস দিয়েছে।
এদিকে হোয়াইট হাউজের করোনা সংক্রান্ত কো-অর্ডিনেটর জেফ জিনেটস বলেন, 'আমেরিকায় এফডিএ-র অনুমতি প্রাপ্ত দুর্দান্ত সব ভ্যাকসিন রয়েছে। এদিকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আমেরিকাতে প্রয়োগের ছাড়পত্র পায়নি। এই অবস্থায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রচুর ডোজ মজুত রয়েছে দেশে। এবং পরবর্তী বেশ কয়েক মাস আমাদের এই টিকা প্রয়োজন নেই।' তাঁর এই মন্তব্যের পর জল্পনা বাড়ে যে তাহলে সেই অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা বিভিন্ন দেশে পাঠাতে পারে আমেরিকা।
উল্লেখ্য, এর আগে ভারতকে ভ্যাকসিন পাঠানোর আবেদন জানিয়ে টুইট করেছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন কংগ্রেস সদস্য রাজা কৃষ্ণমূর্তিও। গত শনিবার এক টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, 'বিশ্ববাসীর স্বাস্থ্যরক্ষার স্বার্থে এবং বিশ্ব অর্থনীতিকে বাঁচাতে আমাদের এখনই করোনা টিকা বিশ্বের নানা প্রান্তে পাঠানোর ব্যবস্থা করা উচিত। বাইডেন প্রশাসনকে আবেদন জানাচ্ছি, এই মুহূর্তে ভারত, আর্জেন্টিনা-সহ বিশ্বের যে দেশগুলিতে কোভিডের সংক্রমণ সবথেকে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে, সেখানে আমাদের মজুত করে রাখা লক্ষাধিক টিকা সরবরাহ করা হোক।'