মনে করা হয়েছিল, মিডটার্ম নির্বাচনে রিপাবলিকানদের ‘লাল ঝড়’ দেখা যাবে। এই আবহে ‘গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি’র হয়ে প্রচারে নেমেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রিপাবলিকানদের জয় নিয়ে ট্রাম্প এতটাই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন যে ১৫ নভেম্বর তিনি ‘বড় ঘোষণা’ করতে চলেছেন। তবে তার আগেই শনিবার রাতে বড় ধাক্কা খেল রিপাবলিকানরা। নেভাডা এবং অ্যারিজোনা রাজ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইতে জিতে সেনেটের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতেই রাখতে চলেছে ডেমোক্র্যাটরা।
উল্লেখ্য, ১০০ সদস্য বিশিষ্ট সেনেটের নিয়ন্ত্রণ হাতে রাখতে ডেমোক্র্যাটদের অন্তত ৫০টি আসনের প্রয়োজন ছিল। কারণ সেনেটে কোনও ‘টাই’-এর ক্ষেত্রে ‘টাইব্রেকার’ হন ভাইস প্রেসিডেন্ট। এই আবহে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ডেমোক্র্যাট। উল্লেখ্য, সেনেটের নিয়ন্ত্রণ যে দলের কাছে থাকে, তারা সুপ্রিম কোর্ট এবং অন্যান্য প্রশাসনিক নিয়োগের ক্ষেত্রে বেশি প্রভাব খাটাতে পারে।
এদিকে ইতিমধ্যেই ৫০টি সেনেট আসনে রয়েছেন ডেমোক্র্যাট সদস্য। জর্জিয়ার সেনেট রেস অবশ্য ‘রানঅফ’-এ মীমাংসিত হবে। সেই রেসঅফ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ডিসেম্বরে। উল্লেখ্য, অ্যারিজোনা, নেভাডা এবং জর্জিয়াতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে নেভাডা ও অ্যারিজোনাতে জিতেছে ডেমোক্র্যাটরা। এর ফলে সেনেটে ডেমোক্র্যাটদের আসন সংখ্যা ৫০ হয়েছে। যদি জর্জিয়াতেও ডেমোক্র্যাটরা জিততে পারে তাহলে তাদের আসন সংখ্যা ৫১ হবে। বর্তমানে সেনেটে রিপাবলিকানদের আসন সংখ্যা ৪৯।
এদিকে অ্যারিজোনায় ডেমোক্র্যাট মার্ক কেলির জয় প্রায় নিশ্চিত হলেও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান ব্লেক মাস্টার্স এখনও হার স্বীকার করেননি। প্রসঙ্গত ব্লেকের প্রচারে গিয়েছিলেন স্বয়ং ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই আবহে এই প্রদেশে রিপাবলিকানদের হারের জেরে ট্রাম্পের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের ওপরও প্রভাব ফেলবে। এই আবহে আগামী মঙ্গলবার ট্রাম্প ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্সি ক্যাম্পেন নিয়ে কিছু বলেন কি না, এখন সেদিকে নজর সবার।