‘লাল ঝড়ে’র সম্ভাবনা দেখা গেলেও সেনেট হাতছাড়া হয়েছিল রিপাবলিকানদের। তবে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে চলেছে রিপাবলিকানরা। মার্কিন সংবাদমাধ্যমে এমনই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এর জেরে আগামী দুই বছর মার্কিন প্রশাসন বিভাজিত থাকবে। বহু ক্ষেত্রেই কংগ্রেসের নিম্ন কক্ষে বিল পাশ করাতে সমস্যায় পড়বেন জো বাইডেন এবং ডেমোক্র্যাটরা।
হাউজ অফ রিপ্রেসেন্টেটিভ রিপাবলিকানদের দখলে যাওয়ায় বাইডেনের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন বাধার মুখে পড়বে। এদিকে মনে করা হচ্ছে, বাইডেনের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের ক্ষতি করতে তাঁৎ পরিবারের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশও দিতে পারে বর্তমান কংগ্রেস। উল্লেখ্য, মিডটার্ম নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হওয়ার এক সপ্তাহ পর গতকাল স্পষ্ট হয় হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের চিত্রটা। ৪৩৫ আসন বিশিষ্ট মার্কিন হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভে ২১৮টি আসনে রিপাবলিকানদের জয় নিশ্চিত বলে প্রোজেক্ট করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম। ক্যালিফোর্নিয়ার ২৭তম কংগ্রেশনাল ডিস্ট্রিক্টে জয় এই ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে সাহায্য করে রিপাবলিকানদের।
এই জয়ের পর রিপাবলিকানদের হাউজ লিডার কেভিন ম্যাকার্থি বলেন, ‘আমেরিকানরা নয়া দিশায় পথ চলতে প্রস্তুত। এবং মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে প্রস্তুত হাউজের রিপাবলিকানরা।’ এদিকে ম্যাকার্থি এবং রিপাবলিকানদের অভিনন্দন জানান প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তিনি বলেন, ‘আমেরিকান জনগণ চায় আমরা তাদের জন্য কাজ করি।’ এদিকে মার্কিন কংগ্রেসের হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি এই ফলাফলের পর বলেন, ‘হাউজ ডেমোক্র্যাটরা রাষ্ট্রপতি বাইডেনের নীতিকে সমর্থন করার জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে থাকবে।’
মনে করা হয়েছিল, মিডটার্ম নির্বাচনে রিপাবলিকানদের ‘লাল ঝড়’ দেখা যাবে। এই আবহে ‘গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি’র হয়ে প্রচারে নেমেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রিপাবলিকানদের জয় নিয়ে ট্রাম্প আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। তবে সেনেট নির্বাচনে সেই ঝড় দেখা যায়নি। ইতিমধ্যেই ৫০টি সেনেট আসনে রয়েছেন ডেমোক্র্যাট সদস্য। জর্জিয়ার সেনেট রেস অবশ্য ‘রানঅফ’-এ মীমাংসিত হবে। সেই রেসঅফ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ডিসেম্বরে। প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য, ১০০ সদস্য বিশিষ্ট সেনেটের নিয়ন্ত্রণ হাতে রাখতে ডেমোক্র্যাটদের অন্তত ৫০টি আসনের প্রয়োজন ছিল। কারণ সেনেটে কোনও ‘টাই’-এর ক্ষেত্রে ‘টাইব্রেকার’ হন ভাইস প্রেসিডেন্ট। এই আবহে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ডেমোক্র্যাট। উল্লেখ্য, সেনেটের নিয়ন্ত্রণ যে দলের কাছে থাকে, তারা সুপ্রিম কোর্ট এবং অন্যান্য প্রশাসনিক নিয়োগের ক্ষেত্রে বেশি প্রভাব খাটাতে পারে। তবে সেনেট হাতছাড়া হলেও হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভে খুব অল্প ব্যবধানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছে রিপাবলিকানরা।