সোমবার ক্রিটিক্যাল অ্যান্ড ইমার্জিং টেকনোলজিস (আইসিইটি) সংলাপের তৃতীয় রাউন্ডে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের মুখোমুখি হবেন যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান। সেখানেই ইন্ডিয়া মিডল ইস্ট ইকোনমিক করিডর নিয়ে ডোভালের সঙ্গে কথা বলার কথা জেক সুলিভানের। গাজায় ইজরায়েলি সেনার যুদ্ধের কারণে এই করিডরের কাজ থমকে গিয়েছে। এখন মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশেরই পরিস্থিতি অশান্ত। এই আবহে ট্রাম্পের প্রশাসনে এনএসএ হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া মাইক ওয়াল্টজের সঙ্গে দু'বার ফোনে কথাও হয়েছে ডোভালের। তবে বিদায়ী জেক সুলিভানকে আমন্ত্রণ জানাতে রেড কার্পেট বিছিয়ে দেবে ভারত। এই আবহে যেতে যেতে ভারতের কাছে মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে দিয়ে প্রস্তাবিত ইকোনমিক করিডর চালুর জন্যে সওয়াল করবেন সুলিভান। এদিকে জানা গিয়েছে, এই এলাকায় ইরান, লেবানন এবং সিরিয়ার সশস্ত্র জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে দমন করে করিডরকে সুরক্ষিত রাখার দায়িত্ব বর্তাবে ইজরায়েলের ওপর। (আরও পড়ুন: অনুপ্রবেশে মদত দিচ্ছে BSF, অভিযোগ করেছিলেন মমতা, জবাবে বিদেশ মন্ত্রক বলল...)
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে মিলল সশস্ত্র গোষ্ঠীর ক্যাম্প, তবে একজনকেও ধরতে পারল না বাংলাদেশি সেনা
উল্লেখ্য, দক্ষিণ এশিয়া থেকে ইউরোপ পর্যন্ত নয়া অর্থনৈতিক করিডর তৈরি করতে ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, সৌদি আরব, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন কমিশন সমঝোতা চুক্তিতে সই করে। এই করিডরের ফলে দক্ষিণ এশিয়া, পশ্চিম এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপের মধ্যে অর্থনৈতিক রুট তৈরি হবে। জানা গিয়েছে, রেল-বন্দর করিডরের মাধ্যমে ভারত থেকে সহজেই ইউরোপে পৌঁছে যাবে পণ্য। এই করিডরের ফলে ভারত তো বটেই, সার্বিকভাবে এশিয়ার একাংশের অর্থনৈতিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন আসবে। পুরোদমে ওই করিডর সচল হয়ে গেলে প্রচুর বিনিয়োগ আসবে। ৭২ ঘণ্টায় মধ্যে ভারত থেকে ইউরোপে পণ্য পৌঁছে যাবে। তৈরি হবে প্রচুর কর্মসংস্থান। (আরও পড়ুন: 'আল্লাহর আইন ছাড়া কিছু চলবে না', বাংলাদেশে সংবিধান বদলের জল্পনা বাড়াল জামাত)
আরও পড়ুন: তুরস্ক থেকে ট্যাঙ্ক কিনছে বাংলাদেশ, সবটাই দেখছে ভারত, বিদেশ মন্ত্রক বলল...
এই করিডরের মাধ্যমে ভারত থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির ফুজাইরা বন্দর পর্যন্ত পণ্য পরিবহণ করা হবে। তারপর সৌদি আরব এবং জর্ডনের ২,৬৫০ কিলোমিটার রেল ও রাস্তার মাধ্যমে ইজরায়েলের হাইফা বন্দরে পৌঁছাবে। ভারতীয় সংস্থা এই বন্দর পরিচালনার দায়িত্বে আছে। ইতিমধ্যে দুই দেশের মধ্যে ১,৮৫০ কিমির রেল ও রাস্তা আছে। বাকি অংশ তৈরির পরিকল্পনা করছে সৌদি। সেই হাইফা বন্দর থেকে ভারত, নেপাল, বাংলাদেশ-সহ উপমহাদেশের বিভিন্ন পণ্য ইতালি, জার্মানি, ফ্রান্সের মতো ইউরোপের দেশে পাঠানো যাবে। উল্লেখ্য, কয়েকটি পর্যায়ে মধ্য-প্রাচ্য করিডরের কাজ সম্পূর্ণ হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে তৈরি করা হবে রেল রুট। এই রেলের ইঞ্জিন সৌরশক্তিতে চলবে। ভবিষ্যতে মায়ানমার এবং বাংলাদেশের মাধ্যমে ভিয়েতনাম থেকে ভারতের মাধ্যমে ইউরোপে পণ্য পাঠানোর ক্ষেত্রেও এই করিডর কাজে লাগবে।