আজ থেকে মার্কিন মুলুকে শুরু হতে চলেছে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সফর। তার আগেই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসকে ফোন করলেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান। জানা গিয়েছে, মানবাধিকার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ইস্যুতে কথা হয় দুই পক্ষের। এই নিয়ে হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান আজকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে কথা বলেছেন। একটি কঠিন সময়ে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ইউনুসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সুলিভান।' এদিকে সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'উভয় নেতাই ধর্ম নির্বিশেষে সকল মানুষের মানবাধিকারকে সম্মান ও রক্ষা করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।' (আরও পড়ুন: ভারতে তৈরি ১১ ওষুধের আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আমেরিকার, কিন্তু কেন?)
আরও পড়ুন: 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে…', নাম না নিয়ে ভারতকে নিয়ে বড় মন্তব্য জামাত প্রধানের
মার্কিন বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ' সমৃদ্ধ, স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন জেক সুলিভান। বাংলাদেশ যে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে, তা মোকাবিলার জন্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে যাবে।' এর পাশাপাশি বাংলাদেশে গণতন্ত্র এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য ইউনুস সরকারকে সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন জেক সুলিভান। (আরও পড়ুন: পাক মহিলার গর্ভে ভারতীয় সন্তান, পঞ্চমবার মা হচ্ছেন 'PUBG প্রেমিকা' সীমা হায়দার)
আরও পড়ুন: আবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গে, কবে থেকে ফের কলকাতায় ঠান্ডা পড়তে পারে?
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা বিদায়ের পর বাংলাদেশে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে প্রথম থেকেই সাহায্য করার বার্তা দিয়েছিল ওয়াশিংটন। এর আগের শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক মোটেও ভালো ছিল না। তবে মহম্মদ ইউনুস মসনদে বসার পর বাংলাদেশের পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেনি। বরং সেখানে অস্থিরতা যেন বেড়েই চলেছে। এই আবহে ইউনুসকে জেক সুলিভানের এই ফোন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। (আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে 'লাল কম্বল রহস্য', সেই রাত নিয়ে কী বয়ান মৃত চিকিৎসকের সহকর্মীদের?)
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের পরিস্থিতি এবং সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার ও ধর্মীয় স্বাধীনতার ইস্যুতে বারংবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট। এই আবহে গত সপ্তাহেও মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেলকে প্রশ্ন করা হয়েছিল আমেরিকা, ভারত এবং বাংলাদেশে হিন্দুদের প্রতিবাদ নিয়ে। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, 'ন্যূনতম মানবাধিকার এবং মানুষের মর্যাদাকে রক্ষা করা উচিত বলে মনে করে আমেরিকা।' (আরও পড়ুন: আরজি করের খুনকে 'আত্মহত্যা' বলে 'চালাতে চেয়েছিলেন' কে? সামনে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট)
এদিকে ঘটনাচক্রে আজ থেকেই নিজের ৬ দিনের মার্কিন সফর শুরু করতে চলেছেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রক এস জয়শংকর। সেই সফরের আগেই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিনয় মোহন কোয়াত্রা, বাইডেন প্রশানের শীর্ষ কূটনীতিক কাম্বেল এবং রিচার্ড ভার্মা আলোচনায় বসেন।