বিভিন্ন বিষয়ে চিনের উপর চাপ বাড়াতে কোনও সুযোগ নষ্ট করতে রাজি নয় আমেরিকা। এবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর উত্তেজনার জন্য চিনা 'আগ্রাসন' -কে একহাত নিলেন মার্কিন হাউসের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির চেয়ারম্যান এলিয়ট অ্যাঞ্জেল।
একটি বিবৃতিতে ওই গুরুত্বপূর্ণ কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, 'প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারত-চিন সীমান্তে চিনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। চিন আবারও একবার প্রমাণ করছে যে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বিবাদের সমাধান না করে নিজের প্রতিবেশীদের হুমকি দিতে চাইছে তারা। নিয়মকানুনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা মেটাতে কূটনীতি ও নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া ব্যবহারের জন্য চিনকে আর্জি জানাচ্ছি আমি।'
তবে এটাই প্রথম নয়, পূর্ব লাদাখে ভারতীয় ও চিন সেনার মুখোমুখি সংঘাত নিয়ে প্রথম থেকেই নয়াদিল্লির সমর্থনে মুখ খুলছে আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সীমান্ত বিবাদ নিয়ে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেটিকেও বেজিংয়ের উপর চাপ বাড়ানোর কৌশল হিসেবে দেখছিল কূটনৈতিক মহল। সেই প্রস্তাব অবশ্য ইতিমধ্যে খারিজ করে দিয়েছে ভারত ও চিন দু'দেশই।
তা সত্ত্বেও সীমান্ত বিতর্কে ওয়াশিংটন যে ‘বন্ধু’-র পাশে রয়েছে তা বোঝাতে ভারতের সমর্থনে বারেবারে মুখ খুলেছেন মার্কিন প্রশাসনিক কর্তারা। কয়েকদিন আগেই চিনের সমালোচনা করেন আমেরিকার দক্ষিণ এবং মধ্য এশিয়া দফতরের বিদায়ী প্রধান অ্যালিস ওয়েলস। তিনি বলেন, 'দক্ষিণ চিন সাগর হোক বা ভারতের সঙ্গে সীমান্ত হোক, আমরা বারেবারে চিনের প্ররোচনা এবং বিরক্তিকর আচরণ দেখছি। কীভাবে চিন নিজেদের ক্রমবর্ধমান ক্ষমতা ব্যবহার করছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিষয়গুলি।'