সামনেই আমেরিকা সফরের জন্য আমন্ত্রণ রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে। তার আগে মার্কিন কংগ্রেসেশনাল কমিটির তরফে ভারতকে ন্যাটোপ্লাসে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য প্রস্তাব এল। নয়া দিল্লিকে এই কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করার প্রস্তাব নরেন্দ্র মোদীর মার্কিন সফরের আগে একটি তাৎপর্যমূলক ঘটনা।
বর্তমানে ন্যাটো প্লাস ৫, একটি নিরাপত্তা বিষয়ক আয়োজন। এই নিরাপত্তা বিষয়ক শক্তিশালী ব্যবস্থাপনায় ন্য়াটোর সঙ্গে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, জাপান, ইজরায়েল, দক্ষিণ কোরিয়া। গোটা বিশ্বের প্রতিরক্ষা মজবুত করার লক্ষ্য়ে এই আয়োজন বলে ন্যাটো সূত্রে জানানো হয়। আর এই প্ল্যাটফর্মে যদি ভারত চলে আসে, তাহলে বাধাহীনভাবে গোয়েন্দা তথ্য আদানপ্রদান ও সামরিক ব্যবস্থা সম্পর্কিত প্রযুক্তিকে সহজে ব্যবহারের সুযোগ পাবে দিল্লি।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বিশ্ব কূটনৈতিক আঙিনায় শি জিনপিংয়ের চিনের সঙ্গে কার্যত ঠান্ডা সংঘাতে রয়েছে জো বাইডেনের আমেরিকা। আর এই সংঘাতের একটি অন্যতম কেন্দ্র হল তাইওয়ান। তাইওয়ানকে ঘিরে দুই দেশের দাপটের দড়ি টানাটানির মাঝে দিল্লিকে ন্যাটো প্লাসে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য মার্কিন কংগ্রেসশানাল কমিটির প্রস্তাব বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা বেজিংকে কোমর বেঁধে রাখতেই ভারতকে ন্যাটো প্লাসে রাখার পথে হাঁটছে জো বাইডেনের দেশ। মার্কিন কংগ্রেশনাল কমিটি ও সিসিপি মনে করছে, ন্যাটো প্লাসে ভারত থাকলে তা শক্তিশালী করবে গোষ্ঠীকে।
( মণিপুরে 'এপর্যন্ত ৩৩ জঙ্গির' মৃত্যু হয়েছে, সেনা পদক্ষেপ ঘিরে বার্তা বীরেন সিংয়ের)
এদিকে, মার্কিন কংগ্রেসে এই প্রস্তাবটি পেশ করেন সেদেশের সাংসদ রাজা কৃষ্ণমূর্তি। সিলেক্ট কমিটি বলছে, তাইওয়ানের নিরাপত্তা আরও বাড়াতে প্রয়োজন আমেরিকার সঙ্গে তার সঙ্গীদের বন্ধনকে আরও মজবুত করা। মার্কিন কমিটি মনে করে, ন্যাটো প্লাসে ভারতকে আনলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। বিশ্ব প্রতিরক্ষার দিক থেকেও তা লাভ এনে দেবে। উল্লেখ্য, গত ছয় বছর ধরে এই প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছেন মার্কিনি-ভারতীয় রমেশ কাপুর। আর তাঁর মতে এইটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup