বুধবারই আমেরিকায় অবৈধ অভিবাসী বসবাসকারী ১০৪ জনকে ভারতের অমৃতসরে নামিয়ে দেয় মার্কিন সেনার বিমান। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ট্রাম্পের দেশের তরফে এক ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়। সেখানে সাফ বার্তা দেওয়া রয়েছে অবৈধ অভিবাসন নিয়ে। বলা হয়েছে, ‘ যদি অবৈধ পারপার হয়, তাহলে আপনাকে সরানো হবে।’
হাতে বাঁধা রয়েছে হ্যান্ডকাফ, পায়ে রয়েছে চেইন। এভাবেই শিকল বাঁধা অবস্থাতে অবৈধ অভিবাসীদের বিমানে তোলা হচ্ছে। এই দৃশ্য দেখা গিয়েছে আমেরিকার পোস্ট করা ভিডিয়োতে। ইউএসবিপির প্রধান মাইকেল ডাব্লিউ ব্যাঙ্ক একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, তার বাংলা তর্জমা করলে বলা যায়,'ইউএসবিপি ও তার সহযোগীরা সফলভাবে অবৈধ এলিয়নদের ভারতে ফেরত পাঠিয়েছে।' এরই সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের এই অফিসার লিখছেন,' সেনা পরিবহন ব্যবহার করে এটি ছিল সবচেয়ে দূরের প্রত্যর্পণ বিমান। এই মিশন অভিবাসন আইন প্রয়োগ এবং দ্রুত অপসারণ নিশ্চিত করার জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতির উপর জোর দেয়।'
উল্লেখ্য, রবিবারই মার্কিন সেনার বিমানে পঞ্জাবের অমৃতসরে শ্রীগুরু রামদাসজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১০৪ জন অবৈধ ভারতীয়কে নামিয়ে দেওয়া হয়। যে ভিডিয়ো প্রকাশিত হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, হাতে হাতকড়া ও পায়ে শিকল বেঁধে ওই ভারতীয়দের বিমানে তোলা হয়েছে। আমেরিকা থেকে ভারতে আসার এই দীর্ঘ যাত্রায় তাঁদের এভাবেই শিকল বেঁধে আনা হয়েছে বলে বহু মিডিয়া রিপোর্টের দাবি। জানা যাচ্ছে, এঁদের অনেকেই হরিয়ানা, পঞ্জাব ও গুজরাটের বাসিন্দা। এঁদের মধ্যে ১৯ জন মহিলা ও ১৩ নাবালিকও রয়েছে বলে ‘বিজনেস টুডে’র রিপোর্টে উল্লিখিত হয়েছে। সেখানে ৩৬ বছর বয়সী জসপাল সিংয়ের অভিজ্ঞতা উঠে এসেছে। তিনি ওই সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন,' আমাদের হাতে হাতকড়া পড়ানো ছিল, আর পা বাঁধা ছিল চেইন দিয়ে।' তিনি বলছেন, তাঁরা ভেবেছিলেন অন্য কোনও ক্যাম্পে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তারপর তাঁদের এক পুলিশ অফিসার জানান যে তাঁদের ভারতে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, জসপাল সিং, ব্রাজিল থেকে অবৈধভাবে সীমান্ত পার করেছেন। প্রথমে এক ট্রাফেল এজেন্টের থেকে বৈধভাবে সেদেশে ঢোকার জন্য সাহায্য চাইলেও, শেষে মার্কিন বর্ডার পেট্রোলের হাতে তিনি গ্রেফতার হন। সেখানে ১১ দিন আটক থাকার পর তাঁকে প্রত্যর্পণ করা হয়।