মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন যে ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো নাকি তাঁর সম্মানেই ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরষ্কার গ্রহণ করেছেন। নিজে এই পুরস্কার চেয়েও পাননি ট্রাম্প। এই আবহে মাচাদোর নোবেল জয়ের পর হোয়াই হাউসে ট্রাম্প বলেন, ভেনেজুয়েলার নেত্রী তাঁকে ফোন করেন। সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, 'যিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিনি আজ আমাকে ফোন করে বলেছেন- আমি আপনার সম্মানে এই পুরস্কার নিচ্ছি, কারণ আপনার সত্যিই এটি পাওয়া উচিত ছিল।' (আরও পড়ুন: চিনের ওপর ১০০% শুল্ক ঘোষণা ট্রাম্পের, বাণিজ্য যুদ্ধের আঁচ মার্কিন শেয়ার বাজারে)
এরপর ট্রাম্প হাসতে হাসতে বলেন, 'আমি তাঁকে নোবেলটা আমাকে দিয়ে দিতে বলিনি, তবে তিনি নিজেই এটি চেয়েছিলেন বলে মনে হচ্ছে। আমি তাঁকে দীর্ঘদিন ধরে সাহায্য করে আসছি। আমি খুশি কারণ আমি লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বাঁচিয়েছি।' উল্লেখ্য, মাচাদোকে তাঁর গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা এবং ভেনেজুয়েলাকে একনায়কতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে রূপান্তরের প্রচেষ্টার জন্য এ বছরের শান্তি পুরষ্কারে ভূষিত করেছে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি।
এদিকে মাচাদোর এই পুরস্কারকে ট্রাম্পের জন্য ব্যক্তিগত 'ধাক্কা' হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি বারবার দাবি করেছেন যে তাঁর নোবেল জেতা উচিত ছিল। গত এক বছরে ট্রাম্প প্রকাশ্যে নোবেল পুরস্কারের জন্য প্রচার পর্যন্ত চালিয়েছেন নিজের হয়ে। নিজেকে 'শান্তির প্রেসিডেন্ট' বলে অভিহিত করেছেন। গত সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, তাঁর শান্তির রেকর্ড অতুলনীয়। তিনি দাবি করেন, তিনি ইসরাইল ও ইরান, ভারত ও পাকিস্তান এবং থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে বিরোধসহ ৭-৮টি যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছেন। এ বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য একাধিক দেশ মনোনীত করে ট্রাম্পের নাম।
এর আগে ট্রাম্পকে এই নোবেল জয় উৎসর্গ করে মাচাদো এক সোশ্যাল মিডিয়া বার্তা লিখেছিলেন, 'ভেনেজুয়েলার সমস্ত নাগরিকের সংগ্রামের এই বিশাল স্বীকৃতি এটা। আমাদের কাজ সম্পন্ন করার জন্য এটা একটা অনুপ্রেরণা। আমরা জয়ের দ্বারপ্রান্তে রয়েছি এবং আজ আমরা স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র অর্জনের জন্য আমাদের প্রধান মিত্র হিসেবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ, লাতিন আমেরিকার জনগণ এবং বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোর ওপর নির্ভর করছি।'