২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত ১৫০০ জনকে ক্ষমা করে দিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতেই নিজের সমর্থকদের ক্ষমা করে নির্বাহী নির্দেশিকায় সই করেন ট্রাম্প। ক্যাপিটল হিল আক্রমণে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলবন্দিদের ট্রাম্প 'রাজনৈতিক বন্দি' হিসেবে চিহ্নিত করেন এবং প্রতিশ্রুতি মত ওভাল অফিসে ঢুকেই তাদের ক্ষমা করে দেন। (আরও পড়ুন: 'একা' হলেন মাস্ক, ট্রাম্পের মনোনীত DOGE কো-চেয়ারম্যানের পদে থাকবেন না রামাস্বামী)
আরও পড়ুন: পানামা খাল 'ফিরিয়ে নেব', ওভাল অফিসে ঢুকেই দাবি মার্কন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের
এদিকে ক্যাপিটল হিল মামামলায় অভিযুক্তদের পাশাপাশি যে সকল মানুষ ইতিমধ্যেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন, তাঁদেরও ক্ষমা করেছেন ট্রাম্প। নির্বাহী নির্দেশিকায় সই করে ট্রাম্প বলেন, 'আশা করছি তাঁরা আজই জেল থেকে মুক্তি পাবেন।' উল্লেখ্য, মার্কিন বিচার বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ক্যাপিটল হিল মামলায় ইতিমধ্যেই ৭৩০ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। এছাড়া এখনও এই ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত ৩০০টি মামলা ঝুলে ছিল আদালতে। (আরও পড়ুন: চিন্ময় প্রভুর জামিন মামলার উঠল না বাংলাদেশ হাইকোর্টে, এরপরে কবে হতে পারে শুনানি?)
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফলে সিলমোহর দিতে ইলেক্টোরাল কোলাজদের নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি। সেদিনই ট্রাম্পের সমর্থকরা ক্যাপিটল হিল হামলা চালিয়েছিল। দরজা ভেঙে মার্কিন কংগ্রেসের ভেতরে ঢুকে গিয়েছিল তারা। অভিযোগ, ট্রাম্পের উস্কানিতেই এই কাণ্ড ঘটেছিল। এমনকী ক্যাপিটল হামলার নথি নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। সেই সহিংসতার তদন্ত করে কংগ্রেসের নির্বাচিত কমিটি। এদিকে এই দাঙ্গার প্রেক্ষিতে প্রাউড বয়েজ এবং ওথ কিপারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন ডিস্ট্রিক্ট অফ কলম্বিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল কার্ল রেসিন। প্রসঙ্গত, অতি দক্ষিণপন্থি এই সংগঠনগুলি ট্রাম্পপন্থী হিসেবে পরিচিত। (আরও পড়ুন: 'দুই দেশের মধ্যে গন্ডগোল বাধিয়ে...', বাংলাদেশ সীমান্ত নিয়ে বিস্ফোরক মমতা)
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির সেই ঘটনায় ১৪০ জন পুলিশকর্মী জখম হয়েছিলেন। এতে প্রাণ হারিয়েছিলেন পাঁচজন পুলিশকর্মী এবং চার ট্রাম্প সমর্থক। এদিকে এই হামলার সঙ্গে সম্পর্কিত মামলাগুলিতে দোষী সাব্যস্তদের ৫৫ শতাংশের লঘু অপরাধে শাস্তি হয়েছিল। এই আবহে অধিকাংশ দোষীতেই প্রোবেশনে ছাড়া হয়েছিল বা স্বল্পমেয়াদের জন্যে কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়েছিল। এই আবহে দোষীদের অধিকাংশকেই মুক্তি দেওয়া হয়েছে।