মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার বলেছেন, তিনি অবিলম্বে ইরানের সঙ্গে একটি নতুন পরমাণু চুক্তি নিয়ে কাজ শুরু করতে ইচ্ছুক, যা দেশটিকে 'শান্তিপূর্ণভাবে বৃদ্ধি ও সমৃদ্ধি' করার সুযোগ করে দেবে।
নিজের সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, 'ইজরায়েলের সঙ্গে মিলে যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে উড়িয়ে দিতে যাচ্ছে বলে যে খবর বেরিয়েছে তা অতিরঞ্জিত।
এ ধরনের চুক্তিতে কী থাকতে পারে সে সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি এবং ইরানের কর্মকর্তাদের জবাব মেলেনি।
যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে তেহরানের বিরুদ্ধে কয়েক দশকের পুরনো অসামরিক পরমাণু কর্মসূচি ব্যবহার করে অস্ত্র তৈরির উচ্চাকাঙ্ক্ষা গোপন করার অভিযোগ করে আসছে, যদিও ইরান বারবার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
তিনি একটি নির্দেশনায় স্বাক্ষর করার কয়েক ঘন্টা পরে ট্রুথ সোশ্যাল বিবৃতি পোস্ট করেছেন যা বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞাগুলির কঠোর প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছে, কার্যকরভাবে তার প্রথম মেয়াদের 'সর্বোচ্চ চাপ' কৌশলটি পুনরুজ্জীবিত করেছে। এরপর নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিনিময়ে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করার ঐতিহাসিক ২০১৫ সালের একটি ঐতিহাসিক চুক্তি থেকে একতরফাভাবে বেরিয়ে যাওয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
আগে ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেছিলেন, ট্রাম্পের সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের কৌশল ব্যর্থ হতে থাকবে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত মন্তব্যে আরাগচি বলেন, 'ইরান যাতে পরমাণু অস্ত্র অর্জন না করে তা নিশ্চিত করাই যদি মূল বিষয় হয়, তাহলে ইরানের অবস্থান পরিষ্কার।
ওপেক সদস্য ইরানের ওপর আরও অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টির সম্ভাবনার বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ আন্তর্জাতিক বৃদ্ধিতে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে ব্যবসায়ীরা উদ্বেগ প্রকাশ করায় তেলের দাম কমেছে।
আরাগচি বলেন, ইরান এরই মধ্যে পরমাণু অস্ত্রের বিস্তার রোধ করতে যুদ্ধোত্তর আন্তর্জাতিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে এবং দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি কয়েক বছর আগে ইসলামি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন।
তবে বিশ্বের শীর্ষ পরমাণু নিয়ন্ত্রক সংস্থা গত মাসে বলেছে, ইরানের প্রায় বোমা-গ্রেড সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুত বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার পরিদর্শকদের ইরানের পরমাণু কার্যক্রম সম্পর্কে ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে বলেছে। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের বার্তা, আমি চাই ইরান একটা বড় ও সফল দেশ হোক। কিন্তু তাদের যেন পরমাণু অস্ত্র না থাকে। আমেরিকা ইজরায়েলকে নিয়ে ইরানকে উড়িয়ে দেবে এই খবর পুরো অতিরঞ্জিত। আমাদের কাছে একটি শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক চুক্তি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অবিলম্বে এটা নিয়ে কাজ করব। এটা একটা বড় মধ্য়প্রাচ্যের সেলিব্রেশন হবে যখন এই চুক্তি স্বাক্ষরিত ও সম্পূর্ণ হবে। ভগবান যে মধ্য়প্রাচ্যকে আশীর্বাদ করেন।
.