চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত এইচ-১বি-সহ বিদেশি কর্মপ্রার্থীদের ভিসার অনুমোদন দেওয়া বন্ধ করল আমেরিকা। পরবর্তীকালে সর্বোচ্চ বেতনভুক্ত আবেনদকারীদের অগ্রাধিকার দিয়ে একাধিক স্থায়ী পরিবর্তনের পথেও হাঁটবে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। একইসঙ্গে চলতি বছর পর্যন্ত গ্রিন কার্ডও দেবে না আমেরিকা।
ওয়াশিংটনের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, এইচ-১বি, কয়েকজন এইচ-১বি ভিসাধারীর সঙ্গীর জন্য এইচ-৪ ভিসা স্থগিত রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি কম দক্ষ কর্মীদের জন্য এইচ-২বি, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষামূলক কর্মীদের জন্য কয়েকটি জে ক্যাটেগরি এবং সংস্থার মধ্যে বদলির জন্য এল-১ ভিসাও দেওয়া হবে না। এর ফলে মার্কিন নাগরিকদের জন্য ৫২৫,০০০ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। বিশেষত গত সপ্তাহ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের জেরে যেখানে ৪৬ মিলিয়ন আমেরিকা চাকরি খুইয়েছেন, সেখানে কর্ম ভিসায় রাশ টানার সিদ্ধান্তে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে ট্রাম্প কিছুটা অক্সিজেন পাবেন বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের।
তবে ট্রাম্প প্রশাসনের এই ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির জেরে সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়তে চলেছেন ভারতীয়রা। প্রতি বছর অত্যন্ত দক্ষ বিদেশিদের ৮৫,০০০ এইচ-১বি স্বল্পকালীন কাজের ভিসা প্রদান করে আমেরিকা। তাঁদের মধ্যে ৭০ শতাংশই ভারতীয়। যাঁরা আমেরিকায় উচ্চশিক্ষার জন্য আসেন। এছাড়াও গুগুল, ফেসবুক, মাইক্রোসফটের মতো মার্কিন সংস্থা এবং টিসিএস, ইনফোসিস এবং উইপ্রোর মতো ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করেন। একইসঙ্গে এইচ-১বি ভিসা অনুমোদনের ক্ষেত্রে যে স্থায়ী পরিবর্তনের কথা জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন, তাও ভারতীয়দের চিন্তা বাড়িয়েছে।
অবশ্য শুধু এইচ-১বি নয়, এইচ-৪ ভিসায় কোপ পড়ায় ভারতীয়রা ব্যাপক সমস্যায় পড়বেন। যে এইচ-১বি ভিসাধারীদের গ্রিন কার্ডের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, এইচ-৪ ভিসায় আওতায় তাঁদের সঙ্গীরা কাজের সুযোগ পান। এই ভিসার সবথেকে বেশি সুবিধা পান ভারতীয়রা। কারণ গ্রিন কার্ডের জন্য সবথেকে বেশি আবেদন জমা পড়ে ট্রাম্পের ‘বন্ধুরাষ্ট্র’ ভারত থেকেই।