মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই একের পর এক চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 'আমেরিকা ফার্স্ট'-এর নীতি বাস্তবায়নে তিনি এই সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বলে দাবি ট্রাম্পের। এই আবহে এবার মার্কিন নির্বাচনী প্রক্রিয়া বদলের বড় এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। এই সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন ট্রাম্প। এর আওতায় এখন থেকে আমেরিকায় ভোট দিতে গেলে মার্কিন নাগরিকত্বের নথি বাধ্যতামূলক হবে। (আরও পড়ুন: বিতর্কের আবহে অভ্যুত্থান নিয়ে মুখ খুললেন বাংলাদেশি সেনা প্রধান খোদ, বললেন...)
আরও পড়ুন: ভারতের 'রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফ্ট' হ্যাক করেছে চিন? মুখ খুলল সেনা
আদেশে বলা হয়, নির্বাচনে মৌলিক ও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দিতে যুক্তরাষ্ট্র সফল হয়নি। এরই সঙ্গে আদেশে বলা হয়, ফেডারেল এজেন্সিগুলিকে এবার নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সাথে ফেডারেল ডেটা ভাগ করতে হবে। যারা মার্কিন নাগরিক নন, তাদের যাতে নির্বাচন কমিশন সহজে চিহ্নিত করতে পারে, তার জন্যেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আওতায় রাজ্যগুলিকে ভোটার তালিকা সরবরাহ এবং নির্বাচন সংক্রান্ত অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে যেসব রাজ্য এই নির্দেশ মানবে না, তাদের অর্থ না দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। তবে ট্রাম্পের আদেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে কারণ যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যগুলোর নির্বাচনী বিধি নির্ধারণের নিজের নিজের অধিকার রয়েছে। (আরও পড়ুন: '…আমরা সততার পরিচয় বহন করি না', 'যুদ্ধাবস্থায়' থাকা বাংলাদেশ নিয়ে বললেন ইউনুস)
আরও পড়ুন: সমীকরণ বদলাচ্ছে, ইউনুসের চিন সফরের আগেই বেজিংয়ে ‘ইতিবাচক’ বৈঠক ভারতের
প্রসঙ্গত, ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে সোচ্চার। তিনি প্রায়ই দাবি করেন, মার্কিন নির্বাচনে কারচুপি হচ্ছে। ২০২০ সালে নির্বাচনে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে হেরে যাওয়ার পরও তিনি নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ এনেছিলেন। বিশেষ করে মেইল ভোটিং নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন যে এই পদ্ধতিটি অনিরাপদ। এর আগে মার্কিন কংগ্রেসে সেফগার্ড আমেরিকান ভোটার এলিজিবিলিটি অ্যাক্ট বা সেভ অ্যাক্ট আনার কথা বলা হলেও ট্রাম্প এরই মধ্যে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করেছেন। (আরও পড়ুন: সুর বদলে বড় ঘোষণা ট্রাম্পের, মার্কিন প্রতিশোধমূলক শুল্ক থেকে ছাড় পাবে ভারত?)
রিপাবলিকানরা বলছেন, নির্বাচনে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে এই পদক্ষেপ জরুরি। এদিকে অ-নাগরিকদের দ্বারা ফেডারেল নির্বাচনে ভোট দেওয়া ইতিমধ্যে অবৈধ সেই দেশে এবং এর ফলে অভিযুক্তকে নির্বাসিত করা হতে পারে। ব্রেনান সেন্টার ফর জাস্টিস এবং অন্যান্য সংস্থার ২০২৩ সালের একটি প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়েছে যে বৈধ মার্কিন ভোটারদের ৯ শতাংশের (প্রায় ২১.৩ মিলিয়ন) কাছেই মার্কিন নাগরিকত্বের কোনও প্রমাণ নেই।