মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিস নিজের ছোটবেলার দিওয়ালি পালনের স্মৃতি তুলে ধরলেন সম্প্রতি। এই নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'মা আমাদের ঐতিহ্যকে সম্মান করতে শিখিয়েছিলেন। সেভাবেই তিনি আমাদের বড় করেছিলেন। ছোটবেলায় প্রায় প্রতি এক বছর অন্তর অন্তর দিওয়ালিতে আমরা ভারতে যেতাম। সেখানে দিদা, দাদু, মামাদের সঙ্গে সময় কাটাতাম।' এরপর তিনি বলেন, 'ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালীনও আমি দিওয়ালি পান করেছি সরকারি বাসভবনে। সেটা ছুটি কাটাতে নয় বরং ঐতিহ্যের উদযাপন করতেই পালন করতাম আমি।' অবশ্য এবছর তিনি প্রচারে ব্যস্ত থাকার জেরে নিজের সরকারি বাসভবনে দিওয়ালি পার্টির আয়োজন করেনি। তবে তিনি হোয়াইট হাউজের দিওয়ালি পার্টিতে ছিলেন। (আরও পড়ুন: মহিলাকে নিজের যৌনাঙ্গ দেখিয়ে পদ খোয়ালেন কংগ্রেসের জেলা সভাপতি, ভাইরাল ভিডিয়ো)
আরও পড়ুন: হাওড়াগামী মেল ট্রেনে বিস্ফোরণ, জখম একাধিক রেলযাত্রী
আরও পড়ুন: '১০ দিনে পদত্যাগ করুন, নয়ত বাবা সিদ্দিকির মতো পরিণতি হবে', খুনের হুমকি যোগীকে
এদিকে সম্প্রতি আবার মায়ের আর নিজের পুরনো ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন কমলা হ্যারিস। সেখানে তিনি লেখেন, 'আমার মা ডঃ শ্যামলা গোপালন হ্যারিস ১৯ বছর বয়সে একা ভারত থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। তাঁর সাহস ও দৃঢ় সংকল্পের কারণেই আজ আমি আমার বর্তমা স্থানে আছে।' এদিকে অনেকেই দাবি করছেন, নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন ভোটারদের মন জয় করতে চাইছেন কমলা। তাই তিনি দিওয়ালি এবং ভারতীয় মাকে নিয়ে এই সব থা বলছেন ও পোস্ট করছেন। (আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বই লিখেছে উড়ানে বোমাতঙ্ক ছড়ানো জগদীশ,চেয়েছিল PMO-র 'আশীর্বাদ')
আরও পড়ুন: ৭২০০ কোটির দেনার বোঝায় আঁধারে ডুববে বাংলাদেশ? ১০০% বিদ্যুৎ বন্ধের বার্তা আদানির
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভারতীয় বংশোদ্ভূত ৬১ শতাংশ ভারতীয়ই কমলা হ্যারিসকে ভোট দেবেন। আর ৩১ শতাংশ ভোট দিতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। ইউগভের সঙ্গে অংশীদারিত্বে কার্নেগি এনডাওমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস পরিচালিত ইন্ডিয়ান-আমেরিকান অ্যাটিচিউডস সার্ভেতে এই দাবি করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: 'কি কিউট...', রাজ্যের বেতন ও ডিএ বৃদ্ধি হলেও ঠকেছেন সরকারি কর্মীরা?)
আরও পড়ুন: কলকাতা লাগোয়া জেলায় ফের বৃষ্টির সম্ভাবানা, কেমন থাকবে আবহাওয়া? জানুন পূর্বাভাস
অপরদিকে কমলার প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প দিওয়ালিতে পালটা আক্রমণ শানিয়েছিলেন ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে। তাঁর অভিযোগ ছিল, হিন্দুদের প্রতি নজর নেই কমলাদের। এই নিয়ে তিনি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ লিখেছিলেন, 'অশান্ত বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুরা প্রতিনিয়ত দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন। সেখানে লুঠপাট চলছে। আমি এর তীব্র ভাষায় নিন্দা জানাচ্ছি। আমি ক্ষমতায় থাকলে, এমন কখনও হত না। কমলা হ্যারিস ও জো বাইডেন আমেরিকায় এবং বিশ্বজুড়ে হিন্দুদের গুরুত্ব দেননি। ইজরায়েল থেকে ইউক্রেন, এমনকী আমাদের নিজেদের দক্ষিণ সীমান্তেও বিপর্যয় ঘটিয়েছে। তবে আমরা ফের আমেরিকাকে শক্তিশালী করব এবং শক্তির মাধ্যমেই শান্তি ফিরিয়ে আনব। আমরা হিন্দু মার্কিন নাগরিকদেরও কট্টর বামপন্থীদের ধর্ম-বিরোধী অ্যাজেন্ডা থেকে রক্ষা করব। আমরা আপনাদের স্বাধীনতার জন্য লড়ব। আমার প্রশাসনের অধীনে ভারত ও আমার ভাল বন্ধু নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও সুসম্পর্ক আরো মজবুত করব।'