চিনের পিএলএ দ্বারা যদি তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেই 'অন্যায্যভাবে আক্রমণ' হয়, তাহলে মার্কিন সেনারা তাইপেই রক্ষা করবে। সদ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বক্তব্যে এই বার্তা উঠে এসেছে। যদিও বক্তব্য়ের নিরিখে হোয়াইট হাউস বিশেষ ব্যাখ্যা দিয়েছে, তবুও এই নিয়ে চতুর্থবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের মুখে এই বার্তা উঠে এল। যা দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে কার্যত তুলকালাম শুরু করেছে। কারণ এই বার্তাই কার্যত শি জিনপিংয়ের তাইওয়ান দখলের মাঝে অন্তরায় হয়ে উঠবে।
হোয়াইট হাউস একথা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে কোনও মতেই তাইওয়ান নিয়ে আমেরিকা আগের অবস্থান থেকে সরে আসবে না। উল্লেখ্য, তাইওয়ান নিয়ে মার্কিন নীতি যাই থাকুক না কেন, জো বাইডেনের বার্তা কার্যত তাইওয়ান, জাপানের মতো পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির কাছে খানিকটা স্বস্তির হাওয়া এনে দিয়েছে। যে সমস্ত দেশ আপাতত চিনের সেনার রক্তচক্ষুর চোখ রাঙানির আওতায় রয়েছে। এছাড়াও ২৮ মাস ধরে পূর্ব লাদাখে ভারতীয় সেনার সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতে লিপ্ত ছিল চিনের পিএলএ। এককভাবে সীমান্তের সীমারেখা পরিবর্তন ঘিরে আগ্রাসনের নীতিতে হাঁটা চিনের কাছে জো বাইডেনের জবাব বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে,চিন নিয়ে আমেরিকা যতটা তাইওয়ানের নিরিখে ফোকাসে রয়েছে, ততটাই রাশিয়া নিয়ে ইউক্রেনের নিরিখে তারা নজর কড়া করেছে। তবে, দুটি কূটনীতির মধ্যে পার্থক্য একটা রয়েই গিয়েছে। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন ঘিরে, কিয়েভের কাছে অস্ত্র ও টাকা পাঠিয়েছে আমেরিকা, তবে তাইওয়ানের ক্ষেত্রে সেনা পাঠানোর পন্থায় বিশ্বাসী তারা। এর অর্থ দাঁড়ায়, যতটা জাপান ও তাইওয়ানকে তাঁতাবে চিন, ততই দক্ষিণ এশিয়ায় আমেরিকার সেনা স্ট্র্যাটেজি পোক্ত হবে।
মনে করা হচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্য কোয়াডভূক্ত চিন বিরোধী দেশগুলিকে আরও বেশি বলিষ্ঠ করবে। যার হাত ধরে কোয়াডের চিন বিরোধী দেশগুলির সঙ্গে চিনের ব্যবসায়িক সংঘাত তৈরি হতে পারে। এর আগেও এমন কূটনীতি দেখা গিয়েছে। ফলে আসন্ন সময়ে কূটনীতি ইস্যুতে চিন ও আমেরিকা কোন পথে হাঁটে সেদিকে তাকিয়ে পূর্ব এশিয়া।