চিনের শিনজিয়াং প্রদেশ থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করল আমেরিকা৷ শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুরদের দিয়ে দোর করে কাজ করানোর বিষয়ে উদ্বেগের থেকেই আমেরিকার এই সিদ্ধান্ত৷ চিনের উইঘুর মুসলিম সংখ্যালঘুদের প্রতি বেজিংয়ের আচরণের বিরুদ্ধে সরব মার্কিন প্রশাসন। এর আগেও চিনা উইঘুরদের প্রতি জিনিপিং প্রশাসনের ‘অত্যাচার’কে গণহত্যা বলে চিহ্নিত করেছিল ওয়াশিংটন। এই পরিস্থিতিতে ‘উইঘুর ফোর্সড লেবার প্রিভেনশন অ্যাক্ট’ বেজিংকে পাঠানো বাইডেনের ‘বার্তা’ ।
এদিকে চিন শিনজিয়াং-এ উইঘুরদের প্রতি ‘অপব্যবহারে’র বিষয়টি অস্বীকার করে এসেছে প্রথম থেকেই। উল্লেখ্য, শিনজিয়াং একটি তুলা উৎপাদনকারী অঞ্চল। পাশাপাশি এই অঞ্চল সোলার প্যানেল তৈরির জন্য বিভিন্ন উপকরণ সরবরাহ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। তবে ‘উইঘুর ফোর্সড লেবার প্রিভেনশন অ্যাক্টে’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট সই করার পর এই বিষয়ে তাত্ক্ষণিক ভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি চিনের তরফে।
উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সময় থেকেই উইঘুর ইস্যুতে সরব আমেরিকা৷ অভিযোগ, উইঘুর মুসলিমদের বন্দি করে রাখা হয় ডিটেনশন ক্যাম্পে৷ তাদের থেকে জোরপূর্বক শ্রম আদায় করা হয়৷ উইঘুরদের বিরুদ্ধে চিনা প্রশাসনের এই নির্যাতন ও নিষ্ঠুরতার অভিযোগ দীর্ঘ কয়েক দশকের৷ উইঘুরদের বন্দি করা, নির্যাতন চালানো, জোরপূর্বক বন্ধ্যাত্বকরণ, নিষ্ঠুরতা-সহ নানা মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ বেজিংয়ের বিরুদ্ধে৷ বিশেষজ্ঞ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবি, শিনজিয়াংয়ে প্রায় ১০ লাখ উইঘুর, কাজাখ, হুই ও অন্যান্য মুসলিম সংখ্যালঘুদের আটক করে রেখেছে চিন৷ অপরদিকে বেজিংয়ের অভিযোগ, উইঘুররা বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সন্ত্রাসমূলক কার্যক্রমে জড়িত৷ এই আবহে আমেরিকা আগেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে শিনজিয়াংয়ের বেশ কয়েকটি কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল৷ আর এবার বেজিংকে আরও রড়া বার্তা দিতে ‘উইঘুর ফোর্সড লেবার প্রিভেনশন অ্যাক্ট’ আনল ওয়াশিংটন৷