যশবন্ত রাজ
বুধবার সকাল গড়িয়ে দুপুর হওয়ার আগেই জানা যাবে আমেরিকার আগামী রাষ্ট্রপতি কে হতে চলেছেন। তবে ভোট পরবর্তী সম্ভাব্য অশান্তির ভয়ে কাঁটা মার্কিন মুলুক। অতিরিক্ত নিরাপত্তার বেষ্টনী হোয়াউট হাউজেও। ইতিমধ্যেই প্রচার শেষ করে ফেলেছন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন।
ওপিনিয়ান পোলগুলির মতে অনেকটাই এগিয়ে প্রাক্তন মার্কিন উপরাষ্ট্রপতি বাইডেন। কিন্তু বাস্তবে সেই ফল হলে ট্রাম্প সমর্থকরা সেটা মেনে নেবেন কিনা, সেই নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। ভোট দেওয়ার শেষ দিনের আগেই তাই ঝাঁপ ফেলেছে ওয়াশিংটন স্থিত অনেক দোকান। হোয়াইট হাউজেও বিশেষ উঁচু বেড়া দেওয়া হয়েছে যাতে কোনও প্রতিবাদী প্রবেশ না করতে পারে। বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে হালেই উত্তাল হয়েছিল যে সব স্থান সেখানে আরও দৃঢ় করা হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
হিংসার আশঙ্কার মধ্যে ট্রাম্প নিজে উস্কানিমূলক টুইট করে চলছেন। পেনসিলভানিয়ায় ভোটিং নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের বিরোধ করে ট্রাম্প বলেন যে এর ফলে রাস্তা ঘাটে হিংসা হবে। বাইডেনের শহরে গিয়েও সম্ভাব্য হিংসা নিয়ে সতর্ক করে এসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এই টুইটটিকে ডিসপিউটেড ও মিসলিডিং বলে বর্ণনা করেছে টুইটার। অর্থাৎ ট্রাম্প অসত্য বলছেন, কার্যত তা বলে দিল টুইটার।
অন্যদিকে যেখান থেকে নিজের নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছিলেন, সেই পিটসবার্গেই প্রচার শেষ করলেন জো বাইডেন। বিভাজনের ওপর ঐক্য, ভয়ের ওপর আশা, মিথ্যের ওপর সত্যের জয়ের আশার বার্তা দিয়ে নিজের প্রচারে ইতি টানেন তিনি। ইতিমধ্যেই ৯৮ মিলিয়ন ভোট অর্থাৎ প্রায় দশ কোটি ভোট পড়ে গিয়েছে। ২০১৬ সালে ১৩.৮ কোটি মানুষ ভোট দিয়েছিলেন। এবার অনায়াসে সেই সংখ্যা ছাপিয়ে যাবে। রেকর্ড ভোটিংয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউজ থেকে ডেমোক্র্যাটরা উৎখাত করতে পারে কি না, সেটাই দেখার।